চাঁদ দেখা এবং না দেখার সঙ্গে ইসলামের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। নতুন চাঁদ দেখে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু ইবাদতের সময় নির্ধারিত হয়। সেগুলোর অন্যতম হলো- রোজা, হজ, জাকাত, কোরবানি। পাশাপাশি নতুন চাঁদ দেখার বিষয়ে হাদিস শরিফে বিশেষ নির্দেশনাও বর্ণিত হয়েছে।
প্রসিদ্ধ সাহাবি হজরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন।
দোয়াটি (উচ্চারণ) হলো– ‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামী, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি ওই চাঁদকে আমাদের ওপর উদিত করো নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে। (হে চাঁদ) আমার ও তোমার প্রতিপালক আল্লাহ।’ (সুনানে তিরমিজি : ১২২৮)
রমজানের চাঁদের বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো। কিন্তু যদি আকাশে মেঘ থাকে, তাহলে গণনায় ৩০ পূর্ণ করে নাও।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৯০০)
অন্য বর্ণনায় রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন- ‘তোমরা (নতুন চাঁদ) না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখো না এবং তা (নতুন চাঁদ) না দেখা পর্যন্ত রোজা ছেড়ে দিয়ো না।’ (মুআত্তা মালিক, হাদিস : ৬৩৫)
এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, রমজান শুরু কিংবা ঈদ করার ব্যাপারটা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। কোনো এলাকায় চাঁদ দেখা না গেলে তাদের জন্য রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
মন্তব্য করুন