বিগত সরকার বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ক্ষতি করেছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিচার ব্যবস্থা ঠিক না থাকলে তো দেশের আর বাকি কিছুই ঠিক থাকার কোনো সুযোগ নাই।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ সফররত তুরস্ক ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সঙ্গে এই বৈঠক হয়। এর নেতৃত্ব দেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে জুরিস্টদের (বিচারক) সঠিক বিচার করার, প্রত্যাশা এবং স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে। দেশ থেকে যারা যারা পালিয়ে গেছে তাদের ব্যাপারে আলাপ হয়েছে। তাদের কী করে বিচার প্রক্রিয়ায় আনা হয় সে বিষয়েও কথা হয়েছে। কেননা এ বিষয়ে তুরস্কেও চর্চা আছে। আর যারা দেশের মধ্যে আছে এবং সরকারের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং স্বৈরাচারের সঙ্গে একাত্মতা দেখিয়ে এক সঙ্গে কাজ করে এতগুলো মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছে, গুম-খুন মিথ্যা মামলা এবং পুলিশের কাস্টডিতে নিয়েছে, জেলখানায় নিয়েছে, চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। এসবই হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। অনেকটা তুরস্কেও এমন হয়েছে। বিশেষ করে এরদোয়ানের ক্ষমতায় আসার পর একটি বিশাল চক্র চক্রান্ত করেছে। আমীর খসরু বলেন, আমাদের বেলায় যারা স্বৈরাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল কিছু কিছু জায়গায় তো মিল আছে। ওখানেও (তুরস্ক) অনেক লোক পালিয়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তারা পালিয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতা এবং আগামীতে বাংলাদেশে এসব আমরা কিভাবে মোকাবিলা করতে পারি এগুলো আলোচনা হয়েছে। যারা পালিয়ে গেছে তাদের ফেরত আনার ব্যাপারে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, কী করা উচিত এগুলো সার্বিকভাবে আলোচনা হয়েছে। ওদের (তুরস্ক) সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে। কেননা বিচার ব্যবস্থা ঠিক না থাকলে তো দেশের আর বাকি কিছুই ঠিক থাকার কোনো সুযোগ নাই। সেইজন্য আমরা মনে করি বাংলাদেশের বিগত দিনের বিচার ব্যবস্থার যে ক্ষতি করেছে। সেখানে (তুরস্ক) ১২ হাজারের মধ্যে ৪ হাজার বিচারককে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১ লাখ ২৫ হাজার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা কী করব না করবো সেটা বুঝার বিষয় আছে চিন্তার বিষয় আছে।
বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি সদস্য তাজভীরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম উপস্থিত ছিলেন। তুরস্কের জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ডক্টর রফিক কোরকুসুজ, কামাল কেয়া, মেহসুরেত আকিনলি, হোসনি ইয়াযযান, হান্না একবুলাট ও রাসিম আয়তিন, আহমেদ সোরগুন, হুসনু টুনা, রিসাট পেটেকসহ ১৬ জন।
মন্তব্য করুন