চিকিৎসক ও চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত সবার নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বিবৃতি তিনি বলেন, ডাক্তার ও চিকিৎসা দেওয়া কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ওপর হামলা হওয়া একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর রুটিন করে হাসপাতালে হামলা হচ্ছে৷ তারই ধারাবাহিকতায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটল গত ২৭ সেপ্টেম্বর। একজন শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার সাইফা মোহসেনা প্রিমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন রোগীর স্বজনরা। একই সমরেয় ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স ও অন্য সংশ্লিষ্টরাও লাঞ্ছিত হন ও রোগীর স্বজনদের তাণ্ডবে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একজন নারী চিকিৎসককে এভাবে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক।
তিনি আরও বলেন, কোনো রোগীর মৃত্যুই কাম্য নয় এবং একজন চিকিৎসক তার সর্বোচ্চ দিয়ে রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তারপরও এ রকম ঘটনা বারবার ঘটে যাচ্ছে, যা গভীর উদ্বেগের। বারবার দাবি ও আন্দোলনের পরও চিকিৎসক এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থ হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
ডা. রফিকুল বলেন, এমতাবস্থায় অবিলম্বে চিকিৎসক ও চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত সবার নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি এবং যারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
ডা. রফিকুল আরও বলেন, অতিসত্বর বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ও স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অংশগ্রহণে রোগী ও চিকিৎসাবান্ধব স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন এবং তার যথাযথ প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মন্তব্য করুন