ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার নিবন্ধ

‘প্রতিবেশী কূটনীতিতে বাংলাদেশ’

ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। ছবি : সৌজন্য
ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। ছবি : সৌজন্য

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক যাত্রা শুরু হয়। ভারতের সমর্থনে বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তি স্থাপন করে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। তরুণ বাংলাদেশ দ্রুত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়, যা বিশ্ব আসরে তার বৈধতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ তার উদ্দেশ্যের প্রতি সহানুভূতিশীল দেশি-বিদেশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তিগুলোর স্বীকৃতি নবজাতক রাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করেছে।

একইসঙ্গে, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে মিত্রদের সমর্থন আদায় করে বাংলাদেশ এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এক কূটনৈতিক বিজয়গাঁথা রচনা করেছে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে স্বাধীনতার পর গত ৫৪ বছর ধরে বাংলাদেশ বিভিন্নভাবে সফলতার স্বাক্ষর রেখেই চলছে। এর পাশাপাশি প্রতিবেশী কূটনীতিতেও বাংলাদেশের সফল পদচারণা রয়েছে।

অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রতিবেশী কূটনীতিতে বাংলাদেশের যে সফল পদচারণা তার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে বাংলাদেশ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে তার অঙ্গীকারে অটল থেকেছে। প্রতিবেশী কূটনীতি জোরদার করণের লক্ষ্যে বর্তমানে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (SAARC)-এর মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আরও জোরদার করেছে। সার্কের মধ্যে সহযোগিতামূলক উদ্যোগ বাংলাদেশকে দারিদ্র্য বিমোচন, বাণিজ্য উদারীকরণ এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বসহ আঞ্চলিক সমস্যা মোকাবিলার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব স্বীকার করে বাংলাদেশের প্রতিবেশীদের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততার নীতি অনুসরণ করেছেন। বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছে। একইভাবে, চীন, ভুটান এবং মিয়ানমারের মতো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার প্রচেষ্টা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক একীভূতকরণে অবদান রেখেছে। প্রতিবেশী কূটনীতিতে আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের অবস্থান কতটা জোরালো তা ইতিহাসের বিশ্লেষণ থেকে পরিষ্কারভাবে জানা দরকার।

ইতিহাস বলছে, স্বাধীনতার সময় থেকে ২টি দেশ যে ঐক্যের ভিত্তিতে নিজেদের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে চলেছে তা আজ পর্যন্ত বিদ্যমান রয়েছে। তবে মাঝে কিছুটা সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খানিকটা নেতিবাচক সম্পর্ক বিরাজমান থাকলেও বিগত ১২ বছরে ২টি দেশের সম্পর্ক বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছেছে। ছিটমহলসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান এসেছে বিগত ১২ বছরে। বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতের ৫টি সর্ববৃহৎ রপ্তানিকৃত দেশের তালিকায় রয়েছে।

এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পে ভারতের সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক দিক থেকেও দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক দল যেমন ভারতে তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করে, তেমনি ভারতীয় সাংস্কৃতিক দলও বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম উপস্থাপন করে। এর মাধ্যমে দুই দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একটি শক্তিশালী সেতুবন্ধন রচিত হয়েছে। এখানে বলে রাখা ভালো, যে বাংলাদেশ ও ভারত উপমহাদেশের ২টি রাষ্ট্র হওয়ায় দুই দেশের সাংস্কৃতিক জগতের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। এ কারণে আবহমান কাল থেকে উভয় দেশ সাংস্কৃতিক দিকগুলো অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার এই চমৎকার সম্পর্কের ফলে প্রতিবেশী কূটনীতিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

ভারতের ন্যায় একইভাবে চীনকেও আমাদের কাছাকাছি প্রতিবেশী হিসেবে আমরা জানি। চীনের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বাংলাদেশ হওয়ার আগে থেকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে যদিও কিছুটা বিতর্ক থাকলেও পরবর্তীকালে চীন আমাদের অর্থনৈতিক বিকাশের অন্যতম সহযাত্রী হয়। নিরাপত্তা কাঠামোসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কাজে চীন আমাদের সহযোগিতা করে। চীন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে। চীনের সঙ্গে সম্পর্কটি সরাসরি নিরাপত্তা সংক্রান্ত না হলেও আমরা অর্থনৈতিক সম্পর্কটি যদি বিবেচনা করি, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা যে পণ্যসামগ্রী আমদানি করি, তারমধ্যে চীনের অবস্থান প্রথম তারপর ভারত। কাজেই অর্থনৈতিকভাবে আমরা চীনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক না, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। তারমানে শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক না, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটি ত্রিপাক্ষিকমাত্রায় আছে। যেমন রোহিঙ্গা ইস্যু। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও চীন চেষ্টা করছে ইতিবাচকভাবে সমাধানের জন্য। বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং চীন যারা ত্রিপাক্ষিকভাবে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করছে। কাজেই চীনাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধু দ্বিপাক্ষিক তা নয়। এর বাইরেও উপাদান আছে। চীন যেহেতু বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, এশিয়া অঞ্চলের প্রধান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে, কাজেই আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সঙ্গে সঙ্গে চীনের সাথে আমাদের ত্রিপাক্ষিক সম্পর্কের যে ধারাবাহিকতা তা রক্ষা করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

কাজেই বাংলাদেশের প্রতিবেশী কূটনীতির ফলে ভারত ও চীনের সঙ্গে আমাদের যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক তা এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের নিকট প্রতিবেশী কূটনীতির দিক থেকে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে। আমরা আমাদের প্রতিবেশী এই দু’দেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মাধ্যমে কূটনৈতিক বিশ্বে বাংলাদেশ দৃঢ় অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে মোটামোটিভাবে আলোচিত হচ্ছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের জন্য একটি ইতিবাচক কূটনৈতিক জায়গা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশের অন্যতম নিকটতম প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। যা বার্মা নামেও পরিচিত। ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য মিয়ানমার ৬তম দেশ হওয়ায়, ৫২ বছরেরও বেশি সময় হয়েছে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শুরু করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, দুই রাষ্ট্র বিভিন্ন কূটনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চালচলন করেছে, তা সত্ত্বেও, সহযোগিতা সবসময়ই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে বাংলাদেশের অনেক মানুষ জীবিকার সন্ধানে বার্মায় (বর্তমানে মিয়ানমার) যাতায়াত করতেন। তখন থেকেই বার্মার (মিয়ানমার) সঙ্গে এ দেশের মানুষের একটা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভারত বাদে একমাত্র মিয়ানমারের সঙ্গেই বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ভূকৌশলগত কারণে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মিয়ানমার বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ শুধু চীনের সঙ্গেই নয়, সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়েছে ভারতের সঙ্গেও। ভারত ও চীন পাল্লা দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে। ভারত ও চীনের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষাকারী বাংলাদেশও মিয়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে সমানতালে। বহুখাতভিত্তিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাবিষয়ক বঙ্গোপসাগরীয় উদ্যোগ বা বিমসটেকের সাত সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার আছে। এই বিমসটেকের মাধ্যমেও দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। মিয়ামারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধির অনেক সুযোগ আছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে জ্বালানি নিশ্চয়তা লাভ করতে পারে।

দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করতে পারে। বাংলাদেশ মিয়ানমারের অবকাঠামো উন্নয়নেও অবদান রাখতে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও অন্যান্য দাতাগোষ্ঠীর অর্থায়নে প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ে নির্মাণের মাধ্যমেও দুই দেশের মধ্যে স্থল যোগাযোগ বাড়তে পারে। বাংলাদেশ-ভারত এবং বাংলাদেশ-চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ন্যায় প্রতিবেশী কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দু’দেশই সমানভাবে লাভবান হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবেশী কূটনীতিতে এই তিন দেশ ছাড়াও সার্কভুক্ত দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে বেশ ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক। যার ফলে প্রতিবেশী কূটনীতিসহ বিশ্ব কূটনীতিতে বাংলাদেশের রয়েছে অনন্য অবস্থান।

প্রতিবেশী কূটনীতিসহ বিশ্ব কূটনীতিতে বাংলাদেশের এমন দৃঢ় অবস্থানে পিছনে শক্তি হিসেবে কাজ করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও কঠোর পরিশ্রম। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গত কয়েক দশক ধরে দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্বে রয়েছেন। তাঁর নেতৃত্ব শৈলী, বাস্তববাদিতা, দূরদর্শিতা এবং গতিশীলতা গভীর রাজনৈতিক উপলব্ধির পরিচায়ক। অর্থনৈতিক কূটনীতি শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি। বাংলাদেশের অর্থনীতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। শেখ হাসিনা বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টের লক্ষ্যে, বাণিজ্য অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে বৈচিত্র্যময় করতে কূটনৈতিক মাধ্যম ব্যবহার করেছেন।

‘লুক ইস্ট’ নীতির মতো উদ্যোগগুলো এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে, যখন বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সম্পৃক্ততা উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার সুবিধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল কূটনীতির কারণেই বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধির অনন্য অধ্যায়ে প্রবেশ করে। উন্নীত হয় নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের সামনে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ যেভাবে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে, তা বিশ্বসভায় অনেক বেশি প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আছে বলেই কূটনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ এতোটা এগিয়ে গিয়েছে। প্রতিবেশী কূটনীতিতে বাংলাদেশের সুসংহত এই অবস্থান ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। আমার বিশ্বাস শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী কূটনীতিতে নয় বরং একদিন বিশ্ব কূটনীতির রোল মডেলে পরিণত হবে।

ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া : উপাচার্য, (রুটিন দায়িত্ব) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বন্যাকবলিত সিলেটে ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পানির সংকট চরমে 

রোনালদোদের বিদায় করে সেমিতে ফ্রান্স

যে কারণে স্পেনের বিপক্ষে জার্মানিকে পেনাল্টি দেওয়া হয়নি

সিলেটে সাড়ে ২৮ লাখ টাকার মাদক জব্দ

দল সেমিতে গেলেও ইউরো শেষ পেদ্রির

জনগণের সেবক হয়ে উন্নয়নের কাজ করতে চাই : জনপ্রশাসনমন্ত্রী 

বগুড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ছয়টি পয়েন্টে ১০৬২ মিটার ঝুঁকিপূর্ণ

বেলাবতে চায়না কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

ক্রুসকে অবসরে পাঠিয়ে সেমিফাইনালে স্পেন

১০

তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ, শতাধিক বসতভিটা বিলীন

১১

কোটার বিরুদ্ধে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

১২

কোটাবিরোধী আন্দোলন / ক্লাস বর্জনের ডাক দিচ্ছে জবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা 

১৩

ওয়ান বাংলাদেশের সন্মিলনে জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রত্যয়

১৪

দাবাকে ভালোবেসে, দাবার কোর্টেই প্রাণ

১৫

নিষিদ্ধ ভয়ংকর অস্ত্র বানাচ্ছেন পুতিন, টার্গেট কে?

১৬

চিনিকলের আধুনিকায়নে সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ এস আলম গ্রুপের

১৭

আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যা, বাঘার পৌর মেয়র ঢাকায় গ্রেপ্তার 

১৮

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর

১৯

মহাকাশেও থামানো যাচ্ছে না ইরানকে

২০
X