দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নতুন সভাপতি মনোনীত হয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ। তিনি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য। একই সঙ্গে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফকে পরিষদের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সচিব (চলতি দায়িত্ব) মোতাহার হোসেনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজয়ের এ ডিসেম্বর মাসে বিগত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার শুরুতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির ২৮১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের গঠনতন্ত্রের বিধি অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে আগামী এক বছরের জন্য কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে সভাপতি এবং শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের বিদায়ী সভাপতি এবং ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামানসহ দেশের ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্যরা অংশগ্রহণ করেন।
এতে আরও বলা হয়, পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় নতুন এ বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা ও মতামত দেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্যরা। এ সময় উপাচার্যরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরাজমান সমস্যাগুলো চিহ্নিতকরণ এবং সে আলোকে সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য মতামত তুলে ধরেন।
তারা যুগোপযোগী, আধুনিক, মানসম্মত ও ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়সমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন মতামত দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যাগুলো দূর করার লক্ষ্যে সুবিধাজনক সময়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার বিষয়ে উপাচার্যরা একমত পোষণ করেন এবং প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা মোতাবেক দেশের উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এর আগে সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে অর্থসহ তেলওয়াত করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র-জনতাসহ সব শহীদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র-জনতাসহ সব শহীদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্যরা পরিচয়পর্ব সম্পন্ন হয়।
মন্তব্য করুন