কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হেলাল হাফিজকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত

কবি হেলাল হাফিজ। ছবি : সংগৃহীত
কবি হেলাল হাফিজ। ছবি : সংগৃহীত

দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজকে দাফন করা হবে রাজধানী মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী করবস্থানে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তাকে সমাহিত করার আগে বেলা ১১টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বাদ জোহর জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে জানাজা হবে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কবির বড় ভাই দুলাল হাফিজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাতে হিমঘরে মরদেহ রাখা হবে।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তাকে ফোন করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওনার সঙ্গে আলাপ করে আমরা বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

হেলাল হাফিজকে স্মরণ করে তার ভাই বলেন, সে তো কবিতার মানুষ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক। প্রেস ক্লাবের পাশেই একটি হোটেল কক্ষে একাকী থাকত সে। আমরা তাকে বাসায় নিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু সে থাকেনি। অসুস্থ হয়েছিল, তখন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। সুস্থ হয়ে আবার হোটেলেই থাকা শুরু করে।

কোভিড পরবর্তী সময় থেকে হেলাল হাফিজ শাহবাগের সুপার হোস্টেলে থাকতেন জানিয়ে দুলাল হাফিজ বলেন, ‘এখানেও সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। পরে তাকে সবাই হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু সে হোস্টেলেই থাকত।’

এর আগে আজ বেলা আড়াইটার দিকে কবি হেলাল হাফিজকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, বেলা ২টার দিকে শাহবাগের সুপার হোস্টেলের ওয়াশরুমের দরজা খুলে অচেতন অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় কবিকে। সেখান থেকে দ্রুত বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয় তাকে। তবে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় কবির।

হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন।

উল্লেখ্য, হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি।

দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলেন সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’- উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। এর আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিজয় দিবসে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি

দুবাই থেকে সুখবর দিলেন মিষ্টি জান্নাত

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা খোকা গ্রেপ্তার

বিআরটি করিডোরে বিআরটিসির এসি বাসের উদ্বোধন আগামীকাল

আ.লীগ নেতা মিসবাহকে অপহরণ করে নির্যাতন, ৫০ লাখ টাকায় মুক্তি

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইউটিএমবি আল্ট্রা ট্রেইল ম্যারাথনে ইমামুরের রেকর্ড

পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে তল্লাশি, টাকা নিয়ে উধাও

হাঁটতে অক্ষম ঢাবি শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াল ইসলামী ছাত্রশিবির

শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে এনপিপির শ্রদ্ধা 

‘তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে জামায়াত’

১০

বিশ্বব্যাংক থেকে বড় দুঃসংবাদ পেল পাকিস্তান

১১

গোপালগঞ্জে কাভার্ডভ্যানচাপায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

১২

একাত্তরের মতোই চব্বিশে গণকবর দিয়েছে শেখ হাসিনা : রাশেদ প্রধান

১৩

দলীয় কোটায় বুদ্ধিজীবীর তালিকা আর দেখতে চাই না : ফারুক হাসান 

১৪

মার্কিন সমর্থনে / মধ্যপ্রাচ্যকে নিজ স্বার্থে সাজাতে চাইছে ইসরায়েল

১৫

শহীদদের আত্মত্যাগ জাতি কখনো ভুলবে না : আমিনুল হক 

১৬

বিজয় দিবসে নাশকতার পরিকল্পনা, ১২ আ.লীগ কর্মী কারাগারে

১৭

দেশের অস্তিত্ব-সার্বভৌমত্ব নষ্ট করেছে শেখ মুজিব : সারজিস

১৮

নিজ দায়িত্ব পালন করে শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে : ঢাবি উপাচার্য

১৯

ডিমলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

২০
X