ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভারত উন্মাদ হয়ে গেছে। নানা অপপ্রচার চালিয়ে তারা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তারা।
প্রতিবাদ সমাবেশে সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আশরাফুল হুদা বলেন, ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম পুলিশ সদস্যরাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। আমরা সেই পুলিশের উত্তরসূরি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়োজনে সাবেক পুলিশ সদস্যরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছেন।
তিনি বলেন, অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়া অপরাধ, এটি ভারত সরকারকে বুঝতে হবে। আবার হাসিনাকেও বুঝতে হবে বিদেশের মাটিতে বসে দেশের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচারের কঠোর সমালোচনা করেন বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডিআইজি (অব.) এম আকবর আলী। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু ভারত তখন এত অস্থিরতা দেখায়নি। এখন ভারত কেন উন্মাদের মতো আচরণ করছে।
তিনি বলেন, আমরা ভারতের দালালি করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ দেশ স্বাধীন করেছি।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজারবাগ থেকে শান্তিনগর, কাকরাইল, সেগুনবাগিচা হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে আসেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। মিছিল থেকে ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ড ইউনুস এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার পাশে’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় তাদের হাতে ‘রুখো ভারত বাঁচাও দেশ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখবে বাংলার জনগণ’, ‘ভারতীয় ষড়যন্ত্র রুখে দাও রুখতে হবে’, ‘সীমান্তে হত্যা কেন, মোদি সরকার জবাব দাও’ লেখা প্লেকার্ড দেখা যায়। সমাবেশ শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবাদলিপি দেন তারা।
মন্তব্য করুন