বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তারা হাসপাতালে এলে চিকিৎসাধীন আহত কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘ছাত্র হত্যাকারী’ বলে চিৎকার দিতে থাকেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন আসাদুজ্জামান নূর এবং তানভীর ইমাম থেরাপি নিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ গণমাধ্যমকে জানান, দুপুরের দিকে আসাদুজ্জামান নূর এবং এইচ টি ইমামের ছেলে এসেছিলেন থেরাপি নেওয়ার জন্য। সেখানে থেরাপি নিতে আসা আহত শিক্ষার্থীরা তাদের দেখে চিনে ফেলেন। শুনেছি এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে পুলিশ ও চিকিৎসক-কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হঠাৎ কয়েকজন শিক্ষার্থীর হই-হুল্লোড় শুনে এগিয়ে যায়। গিয়ে দেখি একজনকে কিল-ঘুষি মারছে শিক্ষার্থীরা। তারা ছাত্র হত্যাকারী এবং শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী বলে চিৎকার করছিল। পরে সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বেইলী রোডের নওরতন কলোনী থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অন্যদিকে তানভীর ইমামকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসাদুজ্জামান নূর রাজনীতির পাশাপাশি ১১০টিরও বেশি টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। টেলিভিশনে তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে এইসব দিনরাত্রি (১৯৮৫), অয়োময় (১৯৮৮), কোথাও কেউ নেই (১৯৯০), আজ রবিবার (১৯৯৯) ও সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড (১৯৯৯)। রেডিওতে প্রচারিত তার নাটকের সংখ্যা ৫০-টিরও বেশি। টেলিভিশনের পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২) ও আগুনের পরশমণি (১৯৯৪)।
সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৮ সালে আসাদুজ্জামান নূর স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
মন্তব্য করুন