স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, আমাদের পুরো স্বাস্থ্যসেবাটা হয়ে গেছে চিকিৎসাকেন্দ্রিক। রোগ যাতে না হয় সেজন্য যথাযথ প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এজন্য আমাদের সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা একান্ত জরুরি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, আমি খুব আশ্বস্ত এবং গর্বিত যে, আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগেই কোভিড চলাকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিস্টরা কীভাবে চিকিৎসা সেবাটা দিয়েছেন। কাউকে দেশের বাইরে যেতে হয়নি। সবাই দেশে চিকিৎসাটা পেয়েছে। এই ধরনের মহাদুর্যোগগুলো যদি তারা সামলে নিতে পারেন আশা করা যায়, বাকি দুর্যোগগুলো তারা সামাল দিতে পারবেন।
ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, সত্যিই খুব খুশি হব, যদি ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। আমি চাই আমাদের ডাক্তাররা যতভাবে সম্ভব যে কোনো বিষয়ে যাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে এবং সে শিক্ষাটা যাতে দেশেই থাকে। এতে এ দেশের মানুষ উপকার পাবে। এ বিষয়ে একটা কথা বলে রাখি, আমি মন্ত্রণালয়ের সভা বিবরণীতে দেখেছি, যেখানে বলা আছে ২-৩ দিনে আসলে কোনো প্রশিক্ষণ হয় না। কথাটা কিন্তু ঠিক। তিন দিনের জন্য গিয়ে ডাক্তাররা কি প্রশিক্ষণ নিবেন। তিন দিনের প্রোগ্রাম সভা, সিম্পোজিয়াম হতে পারে, তবে আমি মনে করি ট্রেনিংয়ের সময় আরও বাড়ানো উচিত। আমরা যাতে হাতে-কলমে বিষয়গুলো শিখতে পারি। সে সব বিষয়গুলো ট্রেনিংয়ে যাতে থাকে। দীর্ঘ ট্রেনিংয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। সেটা এক সপ্তাহ হোক বা দুই সপ্তাহ।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমার কাছে চল্লিশের উপরে ডাক্তারের তালিকা আছে, যারা বিদেশে গিয়ে দেশে আর আসেননি। তাদের একাধিকবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও তারা দেশে আসেননি। একটা দরিদ্র দেশ হিসেবে এত অর্থের অপচয় আমরা কীভাবে মেনে নেব। আমাদের এ বিষয়গুলো যাতে পরিষ্কার উল্লেখ থাকে, দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিক তাতে সমস্যা নেই কিন্তু তারা যাতে দেশে ফিরে আসে, এটাই আমার চাওয়া।
তিনি আরও বলেন, ডিমেনশিয়ার এবং মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার নিয়েও আমাদের দেশ থেকেই গবেষণা হওয়া উচিত।
সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক প্রফেসর ডাক্তার এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন