প্রবীণ সাংবাদিক ও নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীরকে সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো সাংবাদিককে হয়রানির ঘটনা সরকার সহ্য করবে না। নূরুল কবীর দেশের একজন সম্মানিত সম্পাদক। তিনি সাংবাদিকতার ন্যায়পরায়ণতার জন্য সুপরিচিত। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যুক্তি ও সততার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়েছেন তিনি।
এর আগে ফেসবুকে এক পোস্টে নূরুল কবীর জানান, দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি যতবার বিদেশ যাই ততবারই ঢাকা বিমানবন্দরে দেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ আমাকে হেনস্তা করে আসছে। হেনস্থার মধ্যে আছে গোয়েন্দা কর্মকর্তা আমার পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া, পরিদর্শনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যদিও মুদ্রিত নথিগুলিতে সবকিছু লেখা আছে, আমাকে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করা, আমার গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে আমার পাসপোর্ট পাতার ছবি তোলা, ইত্যাদি তথ্য ফেরত দেওয়া বিমানটি খোলার কয়েক মিনিট আগে। বাড়ি ফেরার পথে কোন ঝামেলা হয়নি।
তিনি বলেন, এবার ১৮ই নভেম্বর মিডিয়া কনফারেন্সে বিদেশে যাওয়ার সময় আশা করেছিলাম ঢাকা বিমানবন্দরে আমাদের হেনস্তা করার দিন শেষ, কিছু সময়ের জন্য হলেও। আমি ভুল ছিলাম। এইবার বরং দ্বিগুণ হয়েছে। ২২শে নভেম্বর বাড়ি ফেরার পথে এক ঘণ্টা। দেশপ্রেমিক হওয়া দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সন্দেহভাজন হওয়ার বিষয়। দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সংশ্লিষ্ট এবং সরকার/দের যারা তত্ত্বাবধান করেন তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বাধ্য হলাম।
মন্তব্য করুন