কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের বাসায় শিল্পকলার মহাপরিচালক

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের বাসায় ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের বাসায় ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

কবি, প্রবন্ধকার, গবেষক এবং ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের সঙ্গে দেখা করলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে তার নিউ ইস্কাটনের বাসায় দেখতে যান মহাপরিচালক।

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক একাডেমির মহাপরিচালকের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় তার সুস্থতা কামনা করেন মহাপরিচালক। দেশ, সমাজ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন, ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী, বর্ষীয়ান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক।

পরে ভাষাসৈনিক আহমদ রফিককে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে সম্মানজনক আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা ও অনান্যরা।

প্রসঙ্গত, আহমদ রফিকের সামাজিক অঙ্গীকার তাকে সাংস্কৃতিক জগতে সমস্ত জীবন কর্মব্যস্ত রেখেছে। ছাত্রজীবনে তিনি ভাষা-আন্দোলনে জরুরি ভূমিকা পালন করেছেন। ওই আন্দোলনের কথা তার বহু লেখায় পাওয়া যাবে। ভাষা আন্দোলনের ভেতরে ছিল প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষা। সে রাষ্ট্রের হওয়ার কথা ছিল যথার্থ অর্থে ধর্মনিরপেক্ষ এবং নাগরিকদের ভেতরে অধিকার ও সুযোগের সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওই প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য আবশ্যক ছিল একটি সামাজিক বিপ্লবের। আহমদ রফিক ভাষা-সংগ্রামে যোগ দিয়েছেন সমাজবিপ্লবের স্বাপ্নিক হিসেবেই, এর চেয়ে খাটো কোনো লক্ষ্যে নয়।

আহমদ রফিকের প্রধান পরিচয় তিনি সাহিত্যিক। সাহিত্যিক হিসেবে তিনি অসাধারণ রকমের সৃষ্টিশীল। কিন্তু ওই পরিচয়ের ভেতর আরও পরিচয় রয়েছে। প্রথম কথা তিনি শুধু সাহিত্যিক নন, অঙ্গীকারবদ্ধ সাহিত্যিক। তার অঙ্গীকার শুধু সাহিত্যের প্রতি নয়, সাহিত্যকে সামাজিক করে তোলার ব্যাপারেও। তার সাহিত্যচর্চা সামাজিক অঙ্গীকারেরই অংশ। মনের আনন্দেই তিনি লেখেন, যে কাজ সব সাহিত্যিকেরই; কিন্তু যেটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তা হলো, নিজের আনন্দকে তিনি নিয়ে যান সমাজের কাছে। সেদিক থেকে তার মূল ভূমিকাটা হয়ে দাঁড়ায় সাংস্কৃতিক। সাহিত্যের চর্চার মধ্য দিয়ে তিনি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে চান। আর এটা তো আমরা সবাই জানি যে, আমাদের সংস্কৃতি নানা কারণে পশ্চাৎপদ, তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সংস্কৃতিকর্মীরা ভূমিকা রাখতে পারেন; ভূমিকা থাকা দরকার রাজনীতিকদের, খুব বড় দায়িত্ব থাকে সাহিত্যিকদের। সাহিত্যিক হিসেবে আহমদ রফিক আজীবন এবং ক্লান্তিহীন রূপে ওই দায়িত্বটি পালন করেছেন।

সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি কাজ করেছেন। তার প্রধান পরিচয় কবি হিসেবে, কিন্তু তিনি প্রবন্ধ লিখেছেন বহু বিষয়ে, বিশেষ করে সংস্কৃতি ও সমাজ বিষয়ে। এখনো তিনি নিয়মিত কলাম লেখেন সংবাদপত্রে। তার প্রবন্ধে গবেষণা থাকে এবং রবীন্দ্র-গবেষক হিসেবে অত্যন্ত বড় মাপের ও খুবই উপকারী কাজ করেছেন তিনি; এখনো করছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন রাহমান পুত্র এবং মোহিনী

আরও ২ দিন বন্ধ থকাবে সিটি কলেজ

বইমেলার স্টল ভাড়া ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি প্রকাশকদের

পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র থেমে নেই : নাজমুল হাসান

প্যারালাইসড রোগীদের জন্য আশার আলো মাস্কের ‘মস্তিষ্ক চিপ’

প্রতিটা মিনিট এই পৃথিবীকে উপহার দাও : আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ

৩৫ লাখ বেতনে চাকরি দিচ্ছে কানাডা হাইকমিশন

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবে মিত্র যুক্তরাজ্য

স্বামীকে গোপন ভিডিও-ছবি পাঠাল সাবেক প্রেমিক, নববধূর আত্মহত্যা

নতুন যে সুবিধা পাওয়া যাবে গুগল লেন্সে 

১০

রমজানে বাজার সহনশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

১১

অন্তর্বর্তী সরকার ফেল করলে আমার-আপনার বিপদ আছে : এ্যানি

১২

অর্থমন্ত্রী পদে বিলিয়নিয়ারকে বেছে নিলেন ট্রাম্প

১৩

‘বিএনপি সবসময় নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে’

১৪

‘৭০-এর অনুচ্ছেদ বাতিল করে হাত তোলা এমপি বাদ দিতে হবে’

১৫

আরও সেন্ট্রিফিউজ চালু, পরমানু অস্ত্র তৈরি শুরুর ইঙ্গিত ইরানের?

১৬

সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরামর্শ

১৭

বৃদ্ধার ভাতার টাকা ইউপি সদস্যের পকেটে

১৮

মেসি যাচ্ছেন না বার্সার অনুষ্ঠানে

১৯

‘শিবিরের নামে অপপ্রচার ভিত্তিহীন’

২০
X