আগামীকাল ১ আগস্ট থেকে ৪ আগস্ট রোববার পর্যন্ত চার দিনব্যাপী সারা দেশে সংহতি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন অভিভাবক ফোরাম বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন। পাড়ায়-মহল্লায় ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই সংহতি কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমাদের সন্তানসহ নিরীহ শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যাকারী ও হুকুমদাতাদের বিচার এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৬ সমন্বয়কসহ আটক সকল ছাত্রছাত্রীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অভিভাবক ফোরামটি এই কর্মসূচি পালন করবেন।
বুধবার সংগঠনটির জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির কো-সমন্বয়ক শাহজাহান সিরাজ আল রাজি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারী পুরুষসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে (বিশেষ করে আমাদের মা বোনদের ব্যাপক অংশগ্রহণ বাড়িয়ে) আমাদের সন্তানদের হত্যার বিচারের দাবিতে আগামীকাল ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে ৪ আগস্ট রোববার পর্যন্ত যার যার অবস্থান থেকে পাড়ায়-মহল্লায় হত্যার দাবিসংবলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই সংহতি কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়। প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টার যে কোনো সময় (স্থানীয়ভাবে সময় নির্ধারণ করে) মৌন প্রতিবাদ জানানোর জন্য অভিভাবক ফোরামের পক্ষ থেকে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
তিনি আরও জানান, আন্দোলনে কোথাও বাধার সম্মুখীন হলে সম্মিলিত প্রতিরোধসহ (বাধাদানকারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটিকে অবহিত করতে হবে)। বিশেষ প্রয়োজনে এলাকার প্রতিটি ছাদে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে ঢাকায়-১২৭৫টি, চট্টগ্রামে-৩২৭টি, রাজশাহীতে-৩২১টি, খুলনাতে-৭৬টি, সিলেটে-১৫২টি, ময়মনসিংহে-৪৫টি, কুমিল্লায়-২৩টি, রংপুরে-৬৩টি এবং বগুড়ায় ৩৯টিসহ সকল জেলায় ৩০টি এবং সকল উপজেলায়-২০টি করে স্পট নির্বাচন করা হয়েছে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা যে কোনো সময় বাড়ানো যাবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সিভিল সোসাইটি/সামাজিকভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তি/সিনিয়র সিটিজেনরা কর্তৃক যদি এ বিষয়ে কোনো কর্মসূচি ঘোষিত হয়, তবে এ কর্মসূচির সঙ্গে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি সমন্বয় করে পালন করতে হবে।
মন্তব্য করুন