‘অধিকার চাইলে আমাদের সন্তানকে হত্যা করা হবে কেন?’ শীর্ষক অভিভাবকদের মৌন অবস্থান কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকাল ১০টায় ‘সন্তানের পাশে অভিভাবক’ প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল।
পুলিশের বাধা প্রসঙ্গে কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা লেখক ও গবেষক রাখাল রাহা বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে আহতদের দেখতে যাব বলে কথা ছিল। এটা বড় কোনো আয়োজন ছিল না। এই কর্মসূচিতে আমরা কোনো ব্যানার রাখিনি, মাইকও রাখা হয়নি। এখানে শুধু ১০টা মিনিট দাঁড়াতে চেয়েছিলাম আমাদের সন্তানদের জন্য, সেটাও সহ্য হলো না। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে যেতে পারি না। আমরা মনে করি, রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা শিক্ষার্থীদের হত্যার বৈধতাই প্রমাণ করেছে। আজকের এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আরও বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করব।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র কীভাবে আমার সন্তানকে এভাবে গুলি করে হত্যা করতে পারে অধিকার আদায়ের আন্দোলনের কারণে। দুনিয়াতে এমন কোনো রাষ্ট্র আছে যেখানে এভাবে তারা শিক্ষার্থীদের ওপরে গুলি চালাতে পারে? এভাবে দলীয় বাহিনীকে লেলিয়ে দিতে পারে? আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে যখন চিকিৎসা নিচ্ছিল তখনও তাদের ওপর হামলা করা হয়েছিল, এমনকি তাদেরকে বের করেও দেওয়া হয়েছে।
পরে পুলিশের বাধায় কর্মসূচি পালনে দাড়াতে না পেরে অভিভাবকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দিকে গিয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান।
কর্মসূচিতে অধিকারকর্মী সীমা দত্ত ও অ্যাডভোকেট মুসলিম বিন হাইসহ ২০-৩০ জন অভিভাবক, অধিকারকর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে দেখা যায়।
মন্তব্য করুন