পেটের মেদ আমাদের জন্য একটি বিব্রতকর বিষয়। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার যে পেটের মেদ বাড়ায় তা নয়, বেশি ক্যালরিযুক্ত যে কোনো খাবারই পেটের মেদ বাড়াতে পারে। একবার পেটে মেদ জমলে জিমে না যাওয়া পর্যন্ত সেটা আর কমানো যাবে না, এ ধারণা ভুল। সময়ের অভাবে আমরা প্রতিদিন জিমে যেতে পারি না। জিমে না গিয়েও মেদ কমানো সম্ভব।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলছেন, শরীরকে সুস্থ ও মনকে নির্মল রাখতে শরীর চর্চার কোনো বিকল্প নেই। শরীর চর্চার উদ্দেশ্য হলো শারীরিক সুস্থতা, যা শারীরিক ব্যায়াম নির্ভর। এটি স্বাস্থ্য রক্ষা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শক্তিশালী করার উপায়। তবে এর জন্য জিমে যাওয়ার দরকার নেই। দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে জিমে না গিয়েও ফিট থাকা সহজ হবে।
আসুন জেনে নিই কয়েকটি টিপস
১. অফিস, শপিংমল : প্রায় সব জায়গাতেই সিঁড়ি এবং লিফট থাকে। রোগা হওয়ার কথা ভেবে থাকলে কয়েক দিন এ সব জায়গায় লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে শরীরচর্চার কাজ হবে। রোগা হওয়ার রুটিনে শরীরচর্চার ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে।
২. কাজের ফাঁকে হাঁটাহাঁটি করুন। এক ভাবে দীর্ঘক্ষণ বসে না থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর উঠে একটু হাঁটাচলা করুন। বাড়িতে কাজ করার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। একটু স্ট্রেচিং করলেন। ১০ মিনিট হেঁটে এলেন। তাতেই হবে। অল্প দূরত্বের রাস্তায় রিকশাতে না চড়ে হেঁটে চলাচল করতে পারেন। এতে আপনার মেদ কমতে সাহায্য করবে।
৩. হাঁটতে হাঁটতে কথা বলুন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছেন। সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে অনেকেই বেছে নেন কোনো ক্যাফে কিংবা রেস্তোরাঁ। এখন থেকে কোথাও না বসে বরং হাঁটতে হাঁটতে সঙ্গীর সাথে কথা বলুন, সময় কাটান। এতে শরীর আর প্রেম, দুটোই একসঙ্গে হবে। একসঙ্গে দুটোর যত্নও নেওয়া হবে।
৪. এছাড়া বাড়িতে বসেই ছোটখাটো কাজগুলো করতে পারেন। যেমন ঘর মোছা, কাপড় কাচাসহ অন্য কাজগুলো করলে শরীরের ব্যায়াম হবে, শরীর ভালো থাকবে।
এসব নিয়ম মেনে চললে আপনাকে রেগুলার আর জিমে যেতে হবে না। বাড়িতে বসেই আপনি খুব সহজে শরীর চর্চা করতে পারবেন। এভাবে ব্যায়াম করলে ১৫ দিন পরে নিজেই টের পাবেন শরীরের মেদ কতটুকু কমেছে।
মন্তব্য করুন