
বাড়ন্ত শিশুদের রুম সাজিয়ে তোলা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। নতুন চিন্তাভাবনা আর আর শিশুর মানসিক বিকাশে সহায়ক হবে এমন ভাবেই ছোট একটা বাচ্চার রুম সাজিয়ে তোলা উচিৎ। সেইসঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, আপনার সন্তানের রুমটি এমনভাবে সাজিয়ে তুলতে হবে যেন তা ওই শিশুটির জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান বলে বিবেচিত হয়। শিশুদের রুম সাজানোর সময় জোর দিতে হবে নতুনত্ব এবং রুমের প্রতিটা কোণা সঠিকভাবে ব্যবহারের দিকে।
রুম ডেকোরের সময় কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখলেই আপনার সন্তানের রুমটি হয়ে উঠবে তারজন্য সবচেয়ে আরামদায়ক। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো এমন ৫টি বিষয় সম্পর্কে যা মাথায় রেখে আপনি মনের মত সাজিয়ে তুলতে পারবেন আপনার সন্তানের ঘর।
রুমের জন্য নির্দিষ্ট থিম
রুমের জন্য নির্দিষ্ট একটা থিম থাকলে তা ডেকোরেশনের কাজকে অনেকটাই সহজ করে দেয়। আপনার সন্তান হয়তো আগে থেকেই কোন কার্টুনের থিম পছন্দ করে রাখতে পারে। তাই তার সঙ্গে কথা বলে, তার মতামত নিয়েই ঠিক করুন রুমের থিম।
ক্রিয়েটিভ ফার্নিচার
বাচ্চাদের উপযোগী করে তার রুমের ফার্নিচার নির্বাচন করুন। রুমে রাখতে পারেন নানা রং এর বিন ব্যাগ, বিভিন্ন কার্টুন কাভারের কুশন, মাল্টি-পারপাস টেবিলসহ আরও নানা জিনিস। এতে বাচ্চাদের ক্রিয়েটিভিটি বাড়বে।
আঁকাবুকির জন্য দেয়াল
বাচ্চারা সাধারণত খুবই ক্রিয়েটিভ হয় এবং পুরো রুমকেই নিজের ক্যানভাস বানিয়ে ফেলে। তাই তার নিজের রুমের যদি থাকে দেয়ালজুড়ে তার নিজের ক্যানভাস, তবে খুব একটা মন্দ হয় না। বাচ্চার রুম সাজানোর সময় একপাশের দেয়ালজুড়ে বানানো যেতে অয়ারে ব্লাকবোর্ড। এতে তার ক্রিয়েটিভিটি যেমন বাড়বে, তেমনি পড়াশোনাও মনোযোগ আসবে।
রুমে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা
রুমে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে রাখা যেতে পারে বড় একটা জানালা। সেইসঙ্গে রাতের বেলা যাতে রুমে আলোর কমতি না হয় যেজন্য রাখতে হবে পর্যাপ্ত লাইটিং। পড়ার টেবিলে একটা টেবিল ল্যাম্প, বিছানার কাছে হালকা একটা বেড-ল্যাম্প রাখা যেতে পারে।
খেলনা রাখার সুব্যবস্থা
বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার সঙ্গে খেলনার একটি নিবিড় যোগ রয়েছে। বাচ্চা তার রুমে খেলবে, পড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে খেলনাগুলো যেন সব সময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থাকে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। আর বাচ্চারা যেন নিজেই নিজের খেলনা গোছাতে পারে সেদিকেও নজর দিতে হবে।