দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফলে ত্রুটি ধরা পড়ে এবং রাতেই বুয়েটের একটি কারিগরি টিম ফল পুনঃমূল্যায়ন শুরু করে। সংশোধিত ফলে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। প্রথম প্রকাশিত ফলে উত্তীর্ণ ছিলো ২৩ হাজার ৫৭ জন।
রোববার (২১ এপ্রিল) দিনগত রাতে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়েছে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা বাদে ২১টি জেলা) ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd থেকে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষায় ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানানো হয়। এ ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন।
কিন্তু ফল প্রকাশের পর থেকেই পরীক্ষার চারটি কোডের মধ্যে সুরমা ও পদ্মা কোড পাওয়া শিক্ষার্থীরা ফল নিয়ে কোনো অভিযোগ না করলেও মেঘনা ও যমুনা সেট পাওয়া অনেক পরীক্ষার্থী ফল না পাওয়ার অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে জোর সমালোচনা।
বিষয়টি নিয়ে অন্তত ১০ জন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তারা জানান, অনেক ভালো পরীক্ষা দিলেও তাদের ফল আসেনি। প্রথমে তারা বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এমন অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী কালবেলাকে বলেন, আমার সেটকোড ছিল মেঘনা। আমার হিসাবমতে, পরীক্ষায় ৭০ নম্বর পাওয়ার কথা। যা পেলে আমি অনায়াসে উত্তীর্ণ হই। কিন্তু আমার ফল আসেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ কালবেলাকে বলেন, তিন লাখ প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। তার মধ্যে কেউ উত্তীর্ণ না হলে এর মানে নির্দিষ্ট সেট কোডের কেউই উত্তীর্ণ হয়নি?
তিনি বলেন, অধিদপ্তরের ডিজির (মহাপরিচালক) কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি এই দুই সেট থেকে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তাহলে এসব অভিযোগ কেন আসছে? তারপরও আমরা পুনরায় যাচাই করব।
এ বিষয়ে সন্ধ্যায় সংবাদ প্রকাশের পর রাতেই প্রাথমিকের ফল প্রকাশে ত্রুটি ধরা পড়ে এবং বুয়েটের কারিগরি টিম পুনঃমূল্যায়ন কাজ শুরু করে এবং আরও ২৩ হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।
মন্তব্য করুন