আট মাসেরও বেশি সময় পেরোনোর পর অবশেষে আন্তর্জাতিক বাজারে কমল স্বর্ণের দাম। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক ৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (এক আউন্স=২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) দশমিক ৭ শতাংশ কমে হয়েছে ১ হাজার ৯০৪ ডলার ৮৭ সেন্ট; আর যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমে হয়েছে ১ হাজার ৯০৯ ডলার ৯০ সেন্ট।
স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণকারী বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছরের মাঝামাঝি থেকে লাগামহীনভাবে ডলারের মূল্যমান বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছিল স্বর্ণের বাজারেও। ফলে মহামূল্যবান ও আকর্ষণীয় এ ধাতুটির দামও ছিল চড়া।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ঋণের বিপরীতে সুদের হার বাড়ানো নির্দেশ দেয় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম। সেই নীতিরই সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, দাম কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে বেড়েছে স্বর্ণ কেনার হারও। গতকালই যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণ কেনাবেচাসংক্রান্ত সূচকের উন্নতি হয়েছে দশমিক ২ শতাংশ।
স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মার্কিন কোম্পানি হাই রিজ ফিচারসের বাণিজ্য শাখার পরিচালক ডেভিড মেগের রয়টার্সকে বলেন, ‘স্বর্ণের এ মূল্যহ্রাস বাণিজ্যিকভাবে অবশ্যই আমাদের জন্য লাভজনক। যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়—তাহলে একদিকে যেমন ডলারের মূল্যমান নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে, তেমনি অন্যদিকে স্বর্ণের বাজারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে।’
এদিকে, স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারের শীর্ষ ক্রেতাদেশ না হলেও প্রতি বছর নতুন চান্দ্র বর্ষের সময় বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এ দেশটিতে ব্যাপক হারে স্বর্ণ কেনাবেচার হার বাড়ে। প্রায় এক মাস ধরে চলে নতুন চান্দ্র বর্ষের উদযাপন। চলতি বছর এ উৎসব শুরু হবে ২১ জানুয়ারি থেকে। এ উৎসবে স্বর্ণ কেনাবেচার হারও ব্যাপকভাবে বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
জিরো-কোভিড নীতির কারণে ২০২২ সালের প্রায় পুরো বছরজুড়েই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর ছিল চীনে। তবে ২ ডিসেম্বর থেকে যাবতীয় এই নীতি থেকে সরে আসার পর থেকে চীনের পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক তৎপরতাও প্রতিদিন বাড়ছে।