ইতালিতে বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু, ঘর ছেড়েছে ১৩ হাজার

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

ইতালিতে ২০টির বেশি নদীর পানি প্লাবিত হয়ে বন্যার দেখা দিয়েছে। টানা ৬ মাস বৃষ্টিপাতের পর এ বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং তাৎক্ষণিক ১৩ হাজার লোককে বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বোলোগনা শহর ও উত্তর-পূর্ব উপকূলের মধ্যে প্রায় ১১৫ কিলোমিটারের ভেতর প্রায় প্রতিটি নদী প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এসব এলাকা থেকে আরও মরদেহ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও প্রায় ২৮০টি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শহর রাভেনার মেয়র বিবিসিকে বলেছেন, এটি এ শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়। বন্যায় শহর এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চলের লোকদের বাড়িঘর, সম্পদ নষ্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, খুব খারাপ ৪৮ ঘণ্টা পার করলাম। পুরো গ্রাম পানি-কাদায় ডুবে গেছে।

বোলোগনার দক্ষিণে বোটেঘিনো ডি জোকা এলাকায় রবার্টা লাজারিনির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তা, বাড়ি, বাগান সব প্লাবিত হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, জীবনে এ এলাকায় এমন কিছু দেখিনি। জলাবদ্ধ হয়ে পড়লে কী করতে হবে তাৎক্ষণিক বুঝতে পারিনি। আমি শুধু আশা করি এটা যেন আর না ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা বাসিন্দাদের তাদের বাড়ি থেকে পালাতে সাহায্য করেছিল। এর মধ্যে ৯৭ বছর বয়সী এক মহিলাও ছিল।

এদিকে এমিলিয়া-রোমাগনা প্রদেশে শুধু নদী নয়, খালগুলোও প্লাবিত হয়েছে। দেশটির সিভিল প্রটেকশন মিনিস্টার নেলো মুসুমেসি বলেন, ইতালির জলবায়ু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রূপ নিয়েছে। ৩৬ ঘণ্টায় গড়ে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু এলাকায় ৫০ সেমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে।

তিনি জানান, গত ৪০ বছরে কোনো অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে হাইড্রোলিক ইঞ্জিনিয়ারদের নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সরকার আগামী মঙ্গলবার সংকটকালীন বৈঠক আহ্বান করেছেন।

এমিলিয়া-রোমাগনা প্রদেশের প্রেসিডেন্ট স্টেফানো বোনাচ্চিনি বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com