রাশিয়া খাদ্যশস্য রপ্তানিবিষয়ক চুক্তি স্থগিত করলেও ইউক্রেনের খাদ্যশস্য সরবরাহ যেন চালু থাকে, সে জন্য তুরস্ক বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এরদোয়ান বলেন, ‘একই রকম সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে রাশিয়া যদি এ চুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিতও থাকে, তবুও আমরা মানবতার সেবা চালিয়ে যাব।’
এদিকে, ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানিবিষয়ক চুক্তি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া এ চুক্তি থেকে সরে যায়নি; বরং সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাশিয়ার নৌবহরে হামলার জন্য ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে একটি নিরাপত্তা করিডোর ব্যবহার করেছে—এমন অভিযোগ তুলে মস্কো শনিবার খাদ্যশস্য রপ্তানির চুক্তি স্থগিত করে। তবে ইউক্রেন এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
পুতিন বলেন, ‘বেসামরিক জাহাজের ক্ষেত্রে যেন কোনো হুমকি না থাকে, সে জন্য ইউক্রেনকে অবশ্যই নিশ্চয়তা দিতে হবে।’
অন্যদিকে, ক্ষুধাকে কেন্দ্র করে বিশ্বকে রাশিয়া ব্ল্যাকমেইল করছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বিশ্বে খাদ্য সরবরাহ সহজ করতে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল। এর ফলে কৃষ্ণসাগর উপকূলের বন্দর দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে খাদ্য রপ্তানির সুযোগ পায় ইউক্রেন। রাশিয়ার এমন সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বে খাদ্যশস্য সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।