
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে একটি সিরিঞ্জ দিয়ে ৩০ শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের সাগর জেলার একটি স্কুলে শিশুদের টিকা দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে একজনের জন্য একটি সিরিঞ্জ একবার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এইচআইভির মতো প্রাণঘাতী রোগের বিস্তার এড়াতে ভারতে একক ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যদিও অতীতে এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে হাসপাতালে একটি সিরিঞ্জ পুনরায় ব্যবহার করা হয়েছে।
জিতেন্দ্র রায়, যিনি শিশুদের টিকা দিচ্ছিলেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যে স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে কেবল একটি সিরিঞ্জ দিয়েছে এবং তিনি কেবল আদেশ অনুসরণ করেছেন।
শিশুদের টিকা দেওয়ার সময় যেসব অভিভাবক সঙ্গে ছিলেন তারা বিষয়টি দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনার কথা শুনে যখন রাজ্যের কর্মকর্তারা স্কুলে পৌঁছান তখন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জিতেন্দ্র রায়কে সেখানে পাওয়া যায়নি এবং তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল।
এ ঘটনায় জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা করেছে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচির জন্য সরঞ্জাম পাঠানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে, বিরোধী দল কংগ্রেসের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, এ ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।