
দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে বাঁচাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিলাসবহুল ৩০টি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে পাকিস্তান। ‘জরুরি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা’র অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে- মাত্রাতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি, বিদেশি ঋণ, রুপির বিপরীতে ডলারের মান কমে যাওয়ার মতো নানাবিধ অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণও দ্রুত কমে আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি ডলারের মূল্য পাকিস্তানের মুদ্রা ২০০ রুপিতে দাঁড়িয়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে বিদেশ থেকে বিলাসবহুল ওই পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এক টুইট বার্তায় বলেন, এমন সিদ্ধান্তে বৈদেশিক মুদ্রারর ওপর চাপ কমবে। যেসব পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে তা সমাজের উঁচু শ্রেণির বিলাসিতায় বাঁধা হলেও গরীব ও মধ্যবিত্তের জন্য স্বস্তির হবে।
যেসব পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে- সিগারেট, ক্রোকারিজ, গাড়ি, মুঠোফোন, ব্যক্তিগত অস্ত্র ও গোলাবারুদ, জুতা, বৈদ্যুতিক বাতি, হেডফোন ও লাউড স্পিকার, ভ্রমণে ব্যবহৃত ব্যাগ, স্যানিটারি পণ্য, কার্পেট, টিস্যু পেপার, আসবাব, শ্যাম্পু, বিলাসবহুল ম্যাট্রেস ও স্লিপিং ব্যাগ, জ্যাম ও জেলি, কর্নফ্লেক্স, প্রসাধনী, হিটার ও ব্লোয়ার, সানগ্লাস, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, পাস্তা, আইসক্রিম, দাড়ি কামানোর সামগ্রী, বিলাসী চামড়াজাত পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, সেলুনের সরঞ্জাম, চকলেট ও কোমল পানীয়।
বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে আমরা প্রায় ৬ বিলিয় মার্কিন ডলার সাশ্রয় করতে পারবো।
মরিয়ম আওরঙ্গজেব, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী।
এদিকে, সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে ‘বিচক্ষণ পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানের চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালিদ তাওয়াব বলেন, ‘এর ফলে আমরা অতিপ্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাতে পারব।’