
মিশরের একটি কারাগার থেকে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সোমালিয়ার এক কিশোরীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। একজন অটো চালককে হত্যার অভিযোগে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছিলো।
তবে ওই কিশোরীর দাবি- অটো চালক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে নিজেকে বাঁচাতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় সে। ঘটনার পর নিজেই কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী।
মিশরের প্রসিকিউটর অফিসের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ওই কিশোরী আত্মরক্ষার যে দাবি করেছিল, পুলিশ ও ডাক্তাররা তার সত্যতা পেয়েছেন। তাই গত শুক্রবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তের জন্য ওই কিশোরীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জানা গেছে, গত ১৭ মে রাজধানী কায়রোর গিজা নামের একটি স্থানে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কিশোরী জানিয়েছে, অটো চালক তাকে নির্জন একটি স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি।
এসময় নিজেকে বাঁচাতে সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করতে থাকে ওই কিশোরী। এক পর্যায়ে আক্রমণকারী ড্রাইভারকে ছুরিকাঘাত করতে সক্ষম হয় সে। পরে সেখানে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনার পর ওই কিশোরী স্থানীয় একটি থানায় গিয়ে ঘটনার বৃত্তান্ত খুলে বলে এবং আত্মসমর্পণ করে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সবাই ওই কিশোরীকে আইনি সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান। এরই ভিত্তিতে প্রাথমিক আইনি সুবিধা পেলো ওই কিশোরী।
প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে- আফ্রিকার দেশ মিশর নারীদের জন্য বিপজ্জনক। ২০১৩ সালে জাতিসংঘের এক রিপোর্ট উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে- দেশটির ৯৯.৩ শতাংশ নারী জানিয়েছেন তারা কোন না কোনভাবে যৌন হয়রানী ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এসব অপরাধীদের জন্য শাস্তি বাড়িয়ে নতুন আইন করেছে মিশর। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে যে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ও যথাযথভাবে কোন অভিযোগ খতিয়ে দেখে না। ফলে অপরাধীরা অপরাধ করেও শাস্তি পাচ্ছে না, যা অপরাধের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।