
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে তিনদিন ধরে বিক্ষোভ ও রক্তাক্ত সংঘর্ষে শান্তিরক্ষী বাহিনী যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ। শান্তিরক্ষীদের ওপর বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা এবং সংঘর্ষে তিন সেনা ও বেসামরিক নাগরিকসহ ১৯ জন নিহত হওয়ার পর এমন মন্তব্য করল সংস্থাটি। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ এও দাবি করেছে যে বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে শান্তিরক্ষীরা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে, এখনো পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- বুতেম্বুতে সহিংসতায় তাদের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন শান্তিরক্ষী সেনা ও অপর দুজন জাতিসংঘের পুলিশ কর্মকর্তা।
বিবিসি জানিয়েছে, কঙ্গোয় নিযুক্ত শান্তিরক্ষা মিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কিভু প্রদেশের প্রধান শহর গোমায় গত সোমবার থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ- দশকের পর দশক ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যে তৎপরতা চালাচ্ছে, তা থামাতে পারছে না মিশন।
এরপর গত মঙ্গলবার বেনি শহরের উত্তরাঞ্চল ও বুতেম্বুতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গোমার সহিংসতায় পাঁচজন আর বুতেম্বুতে সাত বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।এরপর গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়।
কঙ্গোতে নিয়োজিত জাতিসংঘ মিশনটি বিশ্বের বড় শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর একটি। তবে দেশটির পূর্বাঞ্চলে মিশনটি বরাবরই সমালোচিত। কারণ, এ অঞ্চলে ১২০টি সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দশকের পর দশক ধরে চলা রক্তপাত বন্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না মিশন।