
যারা গ্রামাঞ্চলে বাস করেন তারা প্রতিদিন বাজার করার সুযোগ পেলে শহরের যারা থাকেন তাদের চিত্র ভিন্ন। কর্মব্যস্ততার কারণে প্রতিদিন বাজার যাওয়ার সময় অনেকেই পান না।
ছুটির দিনে একেবারে অনেকটা বাজার এনে ফ্রিজে রাখেন। পরে প্রয়োজনমতো ফ্রিজ থেকে বের করে ব্যবহার করেন। তাই বলে সব খাবারই ফ্রিজে ভালো থাকবে, এ ধারণা ভুল। কিছু খাবার আছে যা ফ্রিজে রাখতে স্বাদের সঙ্গে নষ্ট হয় গুণগত মান।
কী কী খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই তা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট ব্লোডস্কাই।
বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটস
বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটস ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই। এগুলো এয়ারটাইট কৌটোয় ভরে ঘরের তাপমাত্রায় রাখাই ভালো।
মধু এবং জ্যাম
ফ্রিজে মধু রাখলে তা জমতে পারে। তখন খাওয়া অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে। তাই ফ্রিজের বাইরে ঘরোয়া তাপমাত্রায় রাখুন। জ্যাম ও জেলিতে প্রচুর প্রিজারভেটিভ থাকে। এটিও ফ্রিজ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায়।
রসুন
রসুন ফ্রিজে রাখলে গন্ধ চলে যায়। দ্রুত নষ্টের শঙ্কাও থাকে। ঘরোয়া তাপমাত্রায় একটি কাগজের ব্যাগে ভরে রাখুন।
আচার
আচারেও প্রিজারভেটিভ বেশি থাকায় ফ্রিজের বাইরেই ভালো থাকে। এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে প্রচুর বাতাস চলাচল করে।
কফি
বাতাস প্রবেশ করতে পারে না এমন পাত্রে কফি ভালো থাকে। ফ্রিজে কফি রাখলে জমে যায় এবং স্বাদ নষ্ট হয়।
টমেটো
টমেটো ফ্রিজে রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকানোর পর বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় টমেটো রাখতে হবে।
সস
ভিনেগার এবং প্রিজারভেটিভ থাকার জন্য যেকোনো সস ফ্রিজ ছাড়াই ভালো থাকবে। সয়া সসও স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে অনেকদিন ভালো থাকে।
কলা
কলা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে হয়। ঘরের তাপমাত্রায় কাঁচা কলাও পেকে যাবে। ফ্রিজে কলা রাখলে কালো হয়ে যাবে।
পেঁয়াজ
সব সময় খোলা স্থানে রাখাই ভালো পেঁয়াজ। ফ্রিজে রাখলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে পড়বে। শুধু তাই না, ফ্রিজে খোলাভাবে পেঁয়াজ রাখলে দুর্গন্ধ ছড়াবে।
আলু
আলু খোলা জায়গায় রাখা ভালো। ফ্রিজের তাপমাত্রা আলুতে থাকা কার্বোহাইড্রেটকে নষ্ট করে দেয়। এতে আলুর স্বাদ বদলে যেতে পারে।