ছাত্র আন্দোলনে সরব ছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এদিকে সরকার পতনের পর কদিন ধরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন শিবিরের বিভিন্ন কার্যক্রম প্রকাশ্যে এসেছে। আন্দোলনে দলটির নেতাকর্মীদের কেমন ভূমিকা ছিল সেসবও স্পষ্ট হচ্ছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ নিয়ে ফেসবুকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ২০২৪ সালে এসে কেউ যদি নিউটনের গতিসূত্র আবিষ্কার করে এবং সেই আবিষ্কারের আনন্দে ইউরেকা ইউরেকা বলে চিৎকার করতে থাকে, তাহলে কি বলা যাবে? ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জামায়াত ছিল না এই কথাটা কে বলেছে কবে? বাংলাদেশের সবাই জানে এই আন্দোলনের প্রথম থেকে বিএনপি, জামায়াতে, বাম দলসহ দলমত-নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ ছিল। সবাই একটা জিনিসই চেয়েছে, শেখ হাসিনার পতন।
তিনি আরও লিখেছেন, আরেকটু পরিষ্কার করে বলি, শুধু এবারই প্রথম চেয়েছে তা না। যখন নিরাপদ সড়কের দাবিতে কিশোর আন্দোলন হয়েছে তখনও প্রত্যেকে ওয়াটার টেস্ট করে দেখেছে, এটা কি সরকার পতনের আন্দোলনের দিকে নেওয়া সম্ভব কিনা। জিও পলিটিক্যাল বাস্তবতা এবং সেনাবাহিনীর বাস্তবতায় সেটা সম্ভব ছিল না বুঝতে পেরে আবার প্রত্যেকে দমেও গেছে।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, নুরুল হক নুরুদের নেতৃত্বে কোটা আন্দোলনে একই জিনিস টেস্ট করে দেখেছে বাংলাদেশ। যখন দেখল এটা সরকার পতনের আন্দোলন হিসেবে সফল হবে না, তখন সবাই আবার চেপেও গেছে। এবারও পুরো জাতি ওয়াটার টেস্ট করেছে এবং করে ২০ জুলাই এর মধ্যে বুঝতে পেরেছে যে এই আন্দোলনে সরকার পতন সম্ভব। ফলে মানুষ সরকার পতন ঘটিয়েছে! আওয়ামী লীগের উচিত হবে ভাবা কেন সবাই তাদের পতন চেয়েছে। ক্লিয়ার?
মন্তব্য করুন