বহিরাগতরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক শিক্ষার্থী এ হামলা চালিয়েছে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। এ ঘটনার পর অভিযুক্তের বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী মোবারক হোসাইন আশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মুশফিকের বাসা বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী এলাকায় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসের বাসে এসে প্রধান ফটকসংলগ্ন একটি দোকানে বসেছিলেন আশিক ও তার বন্ধুরা। এ সময় হঠাৎ মুশফিকুর রহমানসহ পনেরো-বিশজন স্থানীয় ছেলে লাঠিসোটা নিয়ে আশিকের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হন আশিক। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তর করা হয়।
অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি।
এদিকে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিচার চেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম ও ড. মুর্শিদ আলম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা বলেন, আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রক্টর অফিসে এসে অভিযোগ দেওয়ার কথা বলি। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন তুলে নেন।
চিকিৎসাকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক রবিউল ইসলাম বলেন, মোবারক হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থীকে আহতাবস্থায় এখানে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া স্থানান্তর করা হয়েছে।