সুস্থ থাকলে নজরুল অগ্নিবীণা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করতেন : ঢাবি ভিসি

কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।ছবি : কালবেলা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সুস্থ থাকলে তার অগ্নিবীণা কাব্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করতেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। একইসঙ্গে তিনি যে অনবদ্য অবদান রেখেছেন যুগে যুগে সেটির জন্য আমরা তাকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’র শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। নজরুল প্রথম যে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেন সেটি তাকে সারা পৃথীবীতে মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে এবং একজন সাম্যের কবি, ভালোবাসার কবি ও অসাম্প্রদায়িক কবি হিসেবে খ্যাতি দিয়েছে। নজরুল তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’, যাকে উৎসর্গ করেছেন, সেটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই বারীন্দ্র কুমার ঘোষ ছিলেন তৎকালীন সমগ্র ভারত ও বাংলার বিপ্লবী মহানায়ক।

তিনি বলেন, আমার ধারণা যদি সমসাময়িক সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থাকতেন এবং তার বয়স যদি সেই রকম হতো। যেটি হয়েছিল চল্লিশের দশকে। চল্লিশের দশকে তিনি যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, নিঃন্দেহে কাজী নজরুল তার কাব্যগ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুর নামেই উৎসর্গ করতেন। কেননা একটি জাতির রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছেন, কাজী নজরুল তার এই কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গের জন্য সব বৈশিষ্ট্য বঙ্গবন্ধুর মাঝে খুঁজে পেতেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী বলেন, তিনি আজীবন মানুষের জয়গান গেয়েছেন, সবাইকে একই গাছের তলায় এনে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন এবং ভীষণভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন তিনি। অন্যায়ের প্রতিবাদে মুখর ছিল তার লেখনী। ১৯৪২ সালে যদি তিনি অসুস্থ না হতেন, তাহলে হয়ত আমরা তার আরও ক্ষুরধার লেখা পেতাম। আজ যেসব জাতিগত বিবেদ দেখা যাচ্ছে, কাজী নজরুল ইসলাম বেঁচে থাকলে সেগুলো হতো না। বেঁচে থাকলে তিনি সমাজটাকেই বদলে দিতেন।

তিনি আরও বলেন, তাকে জাতীয় কবি বলা হলেও আমরা তাকে সব পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনটি ছুটি ঘোষণা করা হয়। আমি অনেক দিন ধরে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনটি ছুটি ঘোষণার কথা বলে আসছি।

কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তার সমাধিতে আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বাহাউদ্দীন নাছিম, বিএনপির পক্ষ থেকে যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন হল, বাংলা একাডেমি, ঢাকা নজরুল সেনা, ছাত্রলীগসহ আরও অনেকে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com