
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (বুটেক্সসাস) সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার মাল্টিমিডিয়া বিভাগের সাংবাদিক মেহেদী হাসানকে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
মেহেদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক শামসুল আলম অন্তর (ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী) তার বাইক আটকায় এবং মেহেদীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে।
পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এলে ছাত্রলীগের কর্মীরা হেনস্তা করে এবং জোর করে বুটেক্স ছাত্রলীগের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপু ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ জয়ের সামনে তার ওপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়।
কয়েক দিন আগে দৈনিক কালবেলার সহকর্মী আকরাম হোসেন ছাত্রলীগ দ্বারা হামলার শিকার হন। এ বিষয়ে মেহেদী তার ফেসবুকে পোস্ট করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এমন ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনায় আরও জড়িত ছিলেন বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপসম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কৌশিক বাড়ৈ, সাবেক সহসম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেব্রিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিক সাদমান, সাবেক সহসম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বিন হোসেনসহ আরও ১০ থেকে ১৫ জন।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মশিউর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি বলেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষ অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কৌশিক বাড়ৈ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম, তবে আমি কোনো ধরনের হেনস্তার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আর আমার জানামতে কেউ হেনস্তাও করেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অভিযুক্তরা বুটেক্স ছাত্রলীগের কর্মী নন; ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দায়ভার ছাত্রলীগ বহন করবে না।