ভাত দিতে দেরি, মালিককে মারধর-ভাঙচুরের পর হোটেলে তালা ছাত্রলীগের

ছাত্রলীগের বন্ধ করে দেওয়া সেই হোটেল।
ছাত্রলীগের বন্ধ করে দেওয়া সেই হোটেল। ছবি : কালবেলা

হোটেলে খেতে গিয়ে ভাত দিতে দেরি করায় মালিককে মারধরসহ ভাংচুর চালানোর পর হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঁচ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকার দোকান মালিক সমিতি।

এতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে পিন্টু হোটেলে খেতে যান ছাত্রলীগকর্মী তুষারসহ আরও কয়েকজন। এ সময় ভাত ফুরিয়ে যাওয়ায় তাদের ভাত দিতে দেরি হয়। এ নিয়ে পুলিশের সামনেই দলবল নিয়ে হোটেল মালিক পিন্টুকে বেধড়ক মারধর করেন তুষার। এ ছাড়া চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে হোটেলে তালা লাগিয়ে দেন।

অভিযুক্ত তুষার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তুষারসহ অভিযুক্ত অন্যরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র কর্মী এবং শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী বলে জানা গেছে।

স্মারকলিপিতে দোকান মালিক সমিতি আরও বলেছে, রাজনীতির দোহাই দিয়ে ইদানীং কিছু শিক্ষার্থী (বিশাল, তুষার, পিয়াস ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দোকানগুলোসহ শেখপাড়া বাজার, মধুপুর, লক্ষ্মীপুর ও হরিনারায়ণপুর বাজারের দোকানদারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে চলেছেন। এতে এলাকার জনমনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

মালিককে মারধর এবং হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছে দোকান মালিক সমিতি।

এদিকে, ঘটনার পরের দিন বুধবার ফের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এলাকায় শিক্ষার্থী ও দোকানদারদের মধ্যে বাগবিতণ্ডায় উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

হোটেল মালিক পিন্টু বলেন, ‘খাবার দিতে দেরি করায় দোকানের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে তারা। এ ছাড়া চামচ দিয়ে আমাকে মারধর করেছে। দোকান খুললে আবার মারার হুমকিও দেন তারা।’

হোটেল ভাঙচুর ও মালিককে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত তুষার বলেন, ‘আগে খাবার চাওয়ার পরও আমাদের পরে যারা আসছে তাদের খাবার দেয়। এ নিয়ে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। তবে আমি হোটেল ভাঙচুর ও মারধর করিনি।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে হোটেল মালিকের সাথে কথা বলেছি।’

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com