
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। আজ সোমবার ঢাবির অপরাজেয় ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষকরা এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে হত্যার হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার ও শান্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে ভাষায় হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে নিন্দা জ্ঞাপনের ভাষা আমাদের জানা নেই। গতকালকের বিষয়টি জনমনে ছড়িয়ে গেযছে। একটি ন্যক্কারজনক অধ্যায় সূচিত হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, এটি ক্ষমার অযোগ্য একটি বিষয়। এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয় বরং গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। এর মধ্য দিয়ে তাদের নীলনকশা প্রমাণিত হয় এবং সেই নীলনকশার কার্যক্রম শুরু করার একটি ইঙ্গিত দেয়। আমি শিক্ষক সমিতির সঙ্গে সংহতি জ্ঞাপন করে এই সভা থেকে দাবি জানাচ্ছি, এ ধরনের কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। তাদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হোক।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার ওপর বারবার হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাকে নিজ হাতে বাঁচিয়ে এনেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার ওপর যে কোনো ধরনের হত্যার ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেব। যে ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছেন তিনি একটি দলের প্রতিনিধি। তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জানতে হবে কীভাবে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। তাকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, যে রাজনৈতিক দলের ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছেন সেই রাজনৈতিক দলের সম্পর্কে আপনারা জানেন। ২০১৭ সালে কানাডার আদালতে এ রাজনৈতিক দলকে সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন সেটি ওই ব্যক্তির কথা নয়। একটি রাজনৈতিক দলের ভাষা হলো এটি। এ রাজনৈতিক দলটি নিয়েও চিন্তা করতে হবে। এই দলটি অতীতেও হত্যা নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এ ধরনের দলের রাজনীতি করার অধিকার আছে কিনা সেটি ভাবার সময় এসেছে।
মানববন্ধনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ফার্মেসি অনুষদের ডিন ও নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রহিম, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল বাছির, সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ফ ম জামাল উদ্দিন এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. ওয়াহেদুজ্জামান প্রমুখ।