
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া অন্য সব জেলার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
গতকাল শনিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের ধূমকেতু ট্রেন রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ট্রেনযাত্রীরা।
জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, রেল রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাই এর কোনো ক্ষতি হোক, তা আমরা কেউ চাই না। রাবির পাশ দিয়েই রেললাইন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সুযোগ যাতে রেলের ওপর কেউ না নিতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
প্রসঙ্গত, বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদ’ নামে একটি বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির চালক শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় তার। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে এসে আবারও কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং স্থানীয় দোকানদারদের ওপর চড়াও হন।
একপর্যায়ে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া করেন। এ সময় দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।