ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বেঞ্চ নাই, মেঝেতে ক্লাস করেন ইবি শিক্ষার্থীরা

বেঞ্চ নাই, মেঝেতে ক্লাস করেন ইবি শিক্ষার্থীরা

বেঞ্চ সংকটে এক বছর ধরে মেঝেতে বসে ক্লাস করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টসহ কয়েকটি বিভাগের ক্লাসরুমে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বিষয়টি অনেকবার কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেও সমাধান মিলছে না বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। ফলে এই শীতেও মেঝেতে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, এক বছর ধরে আমরা এভাবেই ক্লাস করছি। আমরা গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রশাসন ভবনের সামনে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করেছি। তখন কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

বেঞ্চ সংকটের বিষয়ে বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অর্ঘ্য প্রসূন সরকার বলেন, ‘আমরা গত ১৯ সেপ্টেম্বর কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি শ্রেণিকক্ষের জন্য ৫০টি বেঞ্চের চাহিদাপত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সর্বশেষ প্রধান প্রকৌশলী এক মাস আগে এসে শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করে যান। তখন তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখনো কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।’

এদিকে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা প্রায় এক বছর ধরে মেঝেতে বসে ক্লাস করছি। এখন শীতকাল হওয়ায় ঠান্ডা মেঝেতে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। ফলে আমরা সর্দি-জ্বরসহ নানা রোগে ভুগছি। বারবার স্যারদের সাথে কথা বলছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একাধিকবার প্রকৌশল দপ্তরের মাধ্যমে চাহিদাপত্র দিয়েছি। প্রশাসন শুধু আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েই যায়, কিন্তু এখনো কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।’

ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, ‘বেঞ্চ সংকটের কারণে কয়েকটি বিভাগের ক্লাসরুমে অনেক দিন ধরেই শিক্ষার্থীরা মেঝেতে বসে ক্লাস করছে। আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে নিজেও প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু প্রশাসনকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট না।’

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, ‘স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে টেন্ডার বিলম্ব হয়। সর্বশেষ ১৫ দিন আগে আখতার ফার্নিচার কাজের টেন্ডার পায়। ঢাকাতে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তৈরির কাজ চলছে। আশা করছি, আগামী ১৫ দিন পর থেকে সেগুলো পর্যায়ক্রমে আসা শুরু হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ৬ দফা দাবি

চট্টগ্রামে জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

রোববার থেকে নতুন টাকা পাওয়া যাবে ব্যাংকের যেসব শাখায়

২৫ রমজানের মধ্যে বেতন-বোনাস দেওয়ার আহ্বান বাম জোটের 

মাইকিং করে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ, তবুও মিলছে না ক্রেতা

রেলের অনলাইন টিকিটে ডিজিটাল জালিয়াতি

এসকেএফ ফার্মাতে চাকরি, কর্মস্থল ঢাকা

আ.লীগ দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে : মেজর হাফিজ

মিয়ানমারের গোলাগুলি-বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সেন্টমার্টিন

পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনার বার পাচার অতঃপর...

১০

নিজেদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে শিশুদের প্রতি গণপূর্তমন্ত্রীর আহ্বান

১১

‘নববর্ষের অনুষ্ঠান সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা বাতিলের দাবি’

১২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নগদ টাকা-মোটরসাইকেলসহ ২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

১৩

আমার এলাকায় দ্বৈত শাসন চলবে না : সাবেক ভূমিমন্ত্রী

১৪

লবণাক্ত পতিত জমিতে রসুন চাষে কৃষকের মুখে হাসি

১৫

মোংলায় বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

১৬

সমাজসেবা অধিদপ্তরে ৩৪৮ জনের বিশাল নিয়োগ 

১৭

দেশকে রাহুমুক্ত করতেই বিএনপির আন্দোলন : গয়েশ্বর

১৮

মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের চর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী 

১৯

ফেনীতে পৃথক স্থানে সড়কে ঝড়ল ২ প্রাণ

২০
*/ ?>
X