মোতাহার হোসেন, ঢাবি
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১০:২৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ছিল ভাগাড়, হলো পাঠাগার

ছিল ভাগাড়, হলো পাঠাগার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) উল্টো পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৩ নম্বর গেটে কয়েক মাস আগেও ছিল ময়লার ভাগাড়। এখন সেখানে দেখা যায় বইমগ্ন কিছু মুখ। ঢাবি শিক্ষার্থী তানভীর হাসান সৈকতের উন্মুক্ত লাইব্রেরি গড়ে তোলার গল্পটা জানাচ্ছেন কালবেলার ঢাবি প্রতিনিধি মোতাহার হোসেন।

করোনার আগে এ জায়গায় ছিল ভাসমান রেস্তোরাঁ। সকাল-রাত লেগে থাকত মানুষের ভিড়। করোনার পর ভাসমান দোকানগুলো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। জায়গাটি ধীরে ধীরে পরিণত হয় ময়লার ভাগাড়ে। এমনকি এর একপাশে চলতে থাকে মাদক সেবনও। একপর্যায়ে দুর্গন্ধের কারণে ওই গেট ব্যবহার ছেড়েই দিয়েছিলেন অনেকে। পরে সেটাই পরিষ্কার করে উন্মুক্ত এক পাঠাগার বানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর হাসান সৈকত। নিজের টাকা ও বন্ধুদের সাহায্যে এখন সেখানে এক বর্ণিল পাঠাগার। পড়ার খিদে নিয়ে যেখানে হাজির হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি চালু হওয়া এ পাঠাগারে আছে প্রায় দুই হাজার বই। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাখা হয়েছে বাহারি গাছ। উদ্যানের সীমানা প্রাচীরের সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৭ মার্চের ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধের বেশ কিছু ছবিও টানানো। লাইব্রেরি জুড়ে রাখা বোর্ডে ছবি ও কারুকাজ নান্দনিক করে তুলেছে উন্মুক্ত লাইব্রেরিটিকে। রয়েছে একটি বই-বাক্স। কেউ চাইলে যেখানে পাঠকদের জন্য বই উপহার দিয়ে যেতে পারেন।

সৈকত কালবেলাকে বলেন, ‘উন্নত বিশ্বে রাস্তার পাশে বা পার্কের সবুজ ছায়ায় বই পড়ার প্রচলন অনেক দিনের। আমাদের দেশে এমন দৃশ্য দেখা যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বই পড়ার চর্চা থাকাটা খুবই জরুরি। অনেকেই টিএসসিতে এসে আড্ডা দেন। উদ্যানের গেটে সময় কাটান। তারা যেন কিছুটা কোয়ালিটি টাইম কাটাতে পারেন, সে চিন্তা থেকে এখানেই উন্মুক্ত লাইব্রেরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

‘এ জায়গায় চায়ের দোকান আর ময়লার ভাগাড় ছিল। পরে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের পর জায়গাটি ফাঁকাই পড়ে ছিল। আমি ও কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রথমে ময়লা পরিষ্কার করি। এরপর এখানে একটি উন্মুক্ত লাইব্রেরি করার কথা কর্তৃপক্ষকে জানাই। কর্তৃপক্ষ ও আরও অনেকের সহযোগিতায় পাঠাগারটি দাঁড় করাই। দেয়ালে ছবি এঁকেছেন চারুকলা অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী। আর প্রাথমিকভাবে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছিল’—বলছিলেন সৈকত।

বই সংগ্রহের বিষয়ে সৈকত বললেন, ‘প্রথমে নিজের সংগ্রহে থাকা সাড়ে তিনশো বই দিয়ে যাত্রা শুরু করি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, প্রক্টর গোলাম রাব্বানী স্যার, শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট লাফিফা জামাল, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সায়ন্তী হায়দারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-শিক্ষক বই দিয়ে সহযোগিতা করেন। নগদের পক্ষ থেকে একটি সেলফ ও বইও দেওয়া হয়েছে। এখন লাইব্রেরি দেখভালের জন্য নিয়মিত একজন থাকছেন।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়নের নিচে 

শিল্পী সমিতির নির্বাচন বানচাল হওয়ার আশঙ্কা

আবারও বাংলাদেশে আসছেন মেসি!

সিলেটে প্রবাসীকে হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

আ.লীগ সরকারকে পরাজয় বরণ করতেই হবে : ফখরুল 

অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি দিচ্ছে স্বেচ্ছসেবী সংস্থা এমএসএস

সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য হিসাব করবে বিবিএস

কে হচ্ছেন বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ?

ফরিদপুরে ভয়াবহ আগুন, ১২টি দোকান পুড়ে ছাই

রিজার্ভ আবারো ২০ বিলিয়নের নিচে 

১০

বেড়াতে আসা নবদম্পতির থেকে ছাত্রদল নেতার স্বর্ণালংকার ছিনতাই

১১

নাতির গলা কেটে হত্যা করল নানা

১২

চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যপাড়ায় উৎকণ্ঠা, কর্মবিরতির ঘোষণা

১৩

বিপিপি থেকে মহাসচিব কাদেরের পদত্যাগ

১৪

ঢাবির এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান

১৫

‘বেঁচে ফিরলে যাব তোর আসল বাড়ি’

১৬

গাইবান্ধায় গরু চুরি মামলার বাদীকে হত্যা

১৭

নেতানিয়াহুর জন্য ‘আশীর্বাদ’ হয়ে এসেছে ইরানের হামলা

১৮

টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা দিলেন না বুয়েট শিক্ষার্থীরা

১৯

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করলে প্রেমিকা দায়ী নন : দিল্লি হাইকোর্ট

২০
*/ ?>
X