রাহাত হাসান মিশকাত, শাবিপ্রবি
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২২, ০৫:১৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা নেই ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর

মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা নেই ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রায় ৬২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। তবে বাকি ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল তরুণ গবেষকের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

১৭ অক্টোবর ‘হেলিয়ন’ নামের একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান এবং সচেতনতা’ শীর্ষক এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। শাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে এ গবেষণা দলে ছিলেন একই বিভাগের চার শিক্ষার্থী। তারা হলেন মো. আবু বকর সিদ্দীক, মোসাদ্দিকুর রহমান অভি, তানভীর আহাম্মেদ এবং মুহাম্মদ আব্দুল বাকের চৌধুরী।

‘সাস্ট রিসার্চ সেন্টার’-এর অর্থায়নে দেশের ৯৬টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর ওপর অনলাইনে এই জরিপ চালানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির কারণ হিসেবে গবেষকরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অস্বাস্থ্যকর আবাসন ব্যবস্থা, অবাধ ও সমস্যাগ্রস্ত ইন্টারনেটের ব্যবহার, পড়াশোনার চাপ, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পারিবারিক চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা কম, কিন্তু সচেতনতা বেশি। ২২ বছরের অধিক বয়সী ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে সচেতনতা রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে দেড়গুণ বেশি জানেন। আবার ব্যক্তিগত আয় এবং পরিবার থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা পাচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান বেশি। অন্যদিকে, শুধু পরিবারের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা নিয়ে পড়াশোনাসহ যাবতীয় খরচ নির্বাহ করছেন এমন ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান সবচেয়ে কম।

গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ৭৪.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী সামাজিক সমস্যাকে এবং ৫২.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পরিবেশ দূষণকে (শব্দদূষণ, উৎকট দুর্গন্ধ ইত্যাদি) মানসিক সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন। অন্যদিকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছাত্রছাত্রী মনে করেন, মানসিক অসুস্থতার জন্য দায়ী মানুষের ভাগ্য কিংবা কালো জাদু।

৪০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী মনে করেন, আধুনিক মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ধর্মীয় অনুশাসন মানসিক সমস্যার প্রতিকার করতে পারে। অন্যদিকে, ৯০ শতাংশেরও অধিক শিক্ষার্থীর মতে, পরিবারের সদস্যদের সহানুভূতি প্রদর্শন এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে তুলতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক সুরক্ষার জন্য প্রথম বর্ষ থেকে ক্যাম্পেইন, ওয়ার্কশপ, সেমিনার এবং কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করা এবং কুসংস্কারে বিশ্বাস না করে মানসিক রোগের জন্য মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন বলে গবেষণায় মতামত দেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঝালকাঠির ৪ উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

ন্যানো সেকেন্ডেই কব্জায় চলে যাবেন প্রতারক চক্রের!

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা চুয়েট, হল ছাড়ার নির্দেশ

বৃষ্টির জন্য শিক্ষার্থীদের ইসতিসকার নামাজ আদায়

পাহাড়ি গ্রামে পানির কষ্টে মানুষ

নতুন শিক্ষাক্রমে ক্লাসে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে প্রতিবাদ

একটি বইয়ের আলেখ্য

যে কারণে আল্লাহতায়ালা বৃষ্টি বন্ধ করে দেন

বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে বাস সহায়তা দেবে ববি কর্তৃপক্ষ

১০

অনিয়ম ঢাকতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা

১১

কমিউনিটি ব্যাংকে ক্যাড়িয়ার গড়ার সুযোগ, কর্মস্থল ঢাকা

১২

দেশকে এগিয়ে নিতে কৃষির আধুনিকায়ন ছাড়া বিকল্প নেই : তাজুল ইসলাম

১৩

এবার মক্কা ও মদিনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৪

বরিশালে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

১৫

জয় চৌধুরী সভ্য অভিনয়শিল্পী : শিরিন শিলা

১৬

রায়ের আগে এমন গল্পে, সেন্সরের আপত্তি : খসরু

১৭

ফুলবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে এক নারীর মৃত্যু

১৮

ইরানের হাতে শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম

১৯

তীব্র তাপদাহে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও প্রার্থনা

২০
*/ ?>
X