কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে শিক্ষকদের পদত্যাগপত্রগুলো একসঙ্গে করে ব্যানার টাঙিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের দেয়ালে দেয়ালে শিক্ষকদের ওপর বহিরাগত ও অছাত্র নিয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকীর হামলার ছবি ঝুলতে দেখা গেছে। শিক্ষকরা এটাকে ‘পদত্যাগপত্র প্রদর্শনী’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
শুক্রবার (১০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে, আর্টস ফ্যাকাল্টিসহ বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে এ চিত্র দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল বহিরাগত ও অছাত্রদের নিয়ে উপাচার্য আব্দুল মঈন শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন। এই হামলার প্রতিবাদে শিক্ষকরা উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। টানা চতুর্থদিনের মতো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, এসব ছবি টানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। আজকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা এসব দেখছে। যার কারণে খারাপ একটা মেসেজ যাচ্ছে। সেখানে শিক্ষকরা উপাচার্যের ওপর হামলা করেছে। কিন্তু এতে বহিরাগত ও সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ওপর হাত তুলতে পারে না। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, উপাচার্য বিভিন্ন মানুষের কাছে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। বলা হচ্ছে সব শিক্ষক তার সঙ্গে আছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যের অপকর্মের প্রমাণসহ ছবি তুলে ধরা হয়েছে। ওনার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে শিক্ষকরা পদত্যাগ করেছেন। সেই পদত্যাগপত্রের ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে।
দেয়ালে দেয়ালে ব্যানার টানানো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উপাচার্য ড. আব্দুল মঈন বলেন, যারা এগুলো (ব্যানার) লাগিয়েছে তারা বলতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সদস্যরা উপাচার্যের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বাইরে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বহিরাগত ও সাবেক শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ওপর হামলা করে। পরে ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষক সমিতি। একপর্যায়ে গত ২৮ এপ্রিলের পর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন নেতারা।
মন্তব্য করুন