১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর কর্তৃক বুদ্ধিজীবীদের নৃশংস হত্যার স্মরণে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখার নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে কলেজের শহীদ আ ন ম নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস, বিশেষ অতিথি হিসেবে দক্ষিণ ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক আনোয়ার মাহমুদ, ইলিয়াস ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ও সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান সবুজ ও নর্থ হলের তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহীনুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মৃধা জুলহাসের সঞ্চালনায় অংশ নেন অসংখ্য নেতাকর্মী।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে তখন বুদ্ধিজীবী হত্যা করে একটা অপপ্রয়াস চালিয়েছিল পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেনো পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তারই অপপ্রয়াস ১৪ ডিসেম্বর। ঠিক ১৪ ডিসেম্বরের কায়দায় বাংলাদেশের বুকে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর আবির্ভূত হয়েছিল। তাদের মেয়াদ ছিল দীর্ঘ ১৭ বছর। এই শাসনামলে তাদের মতের বিরোধীতা যারাই করেছে তাদেরকে জেলে ভরে, গুম করে, গুলি করে হত্যা করেছে। এমনকি দিগন্ত টেলিভিশন, আমার দেশসহ কয়েকটি পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট কায়দায়।
মৃধা জুলহাস বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরা এদেশের মানুষের মেধাশূন্য করার জন্য নির্বিচারে বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর গণহত্যা চালায়। এতকিছুর পরও তাদের চেষ্টা সফল হয়নি, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদ ও অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক সংগঠন রয়েছে যারা ১৯৭১ সালকে বিশ্বাস করে না। এ বিষয়ে আমরা বলতে চাই, যারা ৭১ কে বিশ্বাস করে না আমরাও তাদেরকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিশ্বাস করি না।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ইশরাক, সহসভাপতি ইব্রাহিম কার্দী, পিয়াল হাসান, শাহাবুদ্দিন ইমন, আব্দুল কাইয়ুম খন্দকার পারভেজ, মাজেদুল ইসলাম মাজেদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাশেদুল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান মামুন, হাবিবুর রহমান আকাশ, মোশারেফ হোসেন ধ্রুব, মো. মিল্লাদ হোসেন, রাকিবুল হাসান রাকিব, আব্দুর রহিম রাজ, আবু সাঈদ রাকিব, জিয়াউর রহমান খন্দকার জিয়া, সোয়াইব আহমেদ সজিব, মিলন হোসেন, তানভীর আহমদ মাদবর, রাহাত হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান জুহিন, মোজাম্মেল হোসেন রিয়াদ, প্রচার সম্পাদক ইমরান হোসেন রাজ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন