পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রহমান হলটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের জন্য উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসক। নোটিশে সাত দিনের মধ্যে হলটি খালি করতে বলা হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হল ও ধূপখোলা মাঠ উদ্ধার কমিটি’ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তথ্যটি নিশ্চিত করেন। পাশাপাশি ওই হলসহ হাবিবুর রহমান হলে স্থাপনা নির্মাণের জন্য ডিসি অফিস বরাবর আবেদন দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
জেলা প্রশাসকের চিঠিতে দেখা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) এ চিঠি ইস্যু করা হয়। চিঠিতে আব্দুর রহমান হলের ২২ জন অবৈধ দখলদারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের সাত দিনের মধ্যে হল দখলমুক্ত করার জন্য বলা হয়েছে। এই বিষয়ে জবি হল ও ধূপখোলা মাঠ সংস্কার বিষয়ক কমিটির সদস্য নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন সংকটের চেয়ে বড় সংকট আর একটিও নেই। তাই জবি সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে হলগুলো পুনরুদ্ধার, পুনরুদ্ধার হলগুলোতে স্থাপনা নির্মাণ ও অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবর্তন, জেলা প্রশাসক পরিবর্তনসহ সব প্রশাসনিক সেক্টরে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। এতে আমাদের কাজে কিছুটা বেগ পোহাতে হলেও আমরা এর ধারাবাহিকতা ব্যাহত হতে দেইনি।
তিনি বলেন, ধূপখোলা মাঠ ও তৎসংলগ্ন ভবনটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থায়ী খেলার মাঠ ও হল হিসেবে পেতে সরকারের কাছে আবেদন জানাব আমরা। এটিসহ দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত অস্থায়ী আবাসন ও ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আবাসন সংকটসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সংকট দূর করে কাঙ্ক্ষিত বিদ্যাপীঠে রূপ দেওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম কালবেলাকে বলেন, আমরা বেদখল হল উদ্ধারের জন্য কাজ করছি। কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। সে সঙ্গে দুই হলের স্থাপনা ও লিজ প্রক্রিয়ায় কিভাবে শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেওয়া যায় সেটি নিয়েও জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন