স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে একজন কিশোরের স্বপ্নবুননের শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। বুনন গাঁথার ধাপে ধাপে থাকে মানসম্মত শিক্ষা, পরিবেশ, শিক্ষক, গবেষণা, সহশিক্ষা কার্যক্রম, বন্ধু, আড্ডা, প্রাণোজ্জ্বল ক্যাম্পাস আর এক বুক ভরা স্বপ্ন। যার সব আয়োজন নিয়েই ঢাকার উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে নিজস্ব ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে আছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে আসা তরুণদের বুকে স্বপ্নবুননে নিবিড়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ১৯৯১ সালে দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত একজন করে পেশাদারি স্নাতক তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটি প্রতিষ্ঠা করেন।
ঢাকার ভেতরে নিজস্ব ২০ বিঘা সবুজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা-সংবলিত প্রতিষ্ঠান আইইউবিএটি। বিশাল এই আয়োজনে ৬টি অনুষদে ১৪টি প্রোগ্রামে পড়াশোনা করছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এ ছাড়া এশিয়া-আফ্রিকার ১২টি দেশের কয়েকশ শিক্ষার্থীর পদচারণা রয়েছে এই ক্যাম্পাসে। তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে রয়েছেন প্রায় ৩০০ শিক্ষক। যাদের মাঝে আছেন ৮০ জনের বেশি পিএইচডিধারী। এখানে শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত ২৩ : ১।
আইইউবিএটিতে স্নাতক পর্যায়ে বিবিএ, পুরকৌশল, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল, অর্থনীতি, ইংরেজি, কৃষি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নার্সিং বিষয়ে পড়া যায়। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এমবিএ এবং এমপিএইচ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার সুযোগ আছে।
নয়নাভিরাম সবুজ মাঠ, উন্মুক্ত স্টাডি এরিয়া, শহীদ মিনার, খেলার মাঠ, গাছপালা-পুকুরে ঘেরা এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। ফ্রি ওয়াইফাই, ইনডোর ও আউটডোর গেমসহ সব মিলিয়ে ‘এন এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন ফর লার্নিং’ অর্থাৎ শিক্ষার পরিকল্পনায় তৈরি পরিবেশ কথাটি যেন এই ক্যাম্পাসেই দেখা যায়। দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত একজন দক্ষ স্নাতক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে আইইউবিএটি। কোনো ফি ছাড়াই ঢাকার অনেকগুলো রুটে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে পরিবহন ব্যবস্থা। এমন প্রাণবন্ত ক্যাম্পাসে বছরজুড়ে চলে নানা আয়োজন। সবুজ মাঠের বুকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে চলে নানা খেলাধুলার আয়োজন। প্রতিযোগী মনোভাব ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের মাঝে চলে অন্তর্বিভাগ নানা আয়োজন। এছাড়া বিতর্ক, নাচ, গান, রোবটিকস কম্পিটিশন, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, বিজনেস কেস কম্পিটিশনসহ নানা আয়োজনের নিজেদের সেরাটা দিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সেরাদের সারিতে অবস্থান করে নিয়েছে আইইউবিএটিয়ানরা।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) প্ল্যাটুন, রোটারাক্ট, ডিবেটিং ফোরাম, স্টুডেন্ট অ্যামবাসেডর সবসময় সক্রিয় থাকে আইইউবিএটি’র সবুজ ক্যাম্পাসে।
দেশের প্রতিটি গ্রামে উচ্চশিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া আইইউবিএটির অন্যতম লক্ষ্য। ‘অ্যান এনভায়রনমেন্ট ডিজাইনড ফর লার্নিং’; অর্থাৎ, জ্ঞান অর্জনের উপযুক্ত পরিবেশ, এমন স্লোগান সামনে রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি চেষ্টা করেছে শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। সময়োপযোগী, মানসম্মত ও ক্যারিয়ার গঠনে ভূমিকা রাখে, এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান তারা।
এক নজরে আইইউবিএটি চাকরির বাজারে আইইউবিএটির অ্যালামনাইরা এগিয়ে :
গত তিন দশক ধরে বিভিন্ন দেশীয় ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সফলতা এবং দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে আইইউবিএটির স্নাতকরা। আইইউবিএটি থেকে পাশ করে আমাদের ইইই গ্র্যাজুয়েট মাহামুদুল হাসান এখন আমেরিকাতে ইনটেল- কর্মরত। ইউনিলিভারে হেড অফ আইটিতে কর্মরত আছেন ফয়সাল মাহমুদ তিনি আমদের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের স্নাতক। আমাদের বিবিএ স্নাতক শাওন আজাদ গ্রামীণফোনে পরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন। ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান নিয়োগ কর্মকর্তা আমাদের গ্র্যাজুয়েট। কিছুদিন আগে আমাদের একজন গ্রাজুয়েট গবেষক হিসেবে নাসায় চাকুরী পেলেন। আমাদের নার্সিং গ্র্যাজুয়েট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ কালীন গবেষণা শিক্ষা বৃত্তি পেয়েছেন। এছাড়াও প্রথম শ্রেনীর সরকারি চাকুরী সহ দেশের উচ্চপর্যায়ের ব্যাংক, টেলিকম সেবা, এফএমসিজি সহ নানা ক্ষেত্রে আইইউবিএটি এর স্নাতকদের দৃঢ় অবস্থান আছে। দেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য-ইউরোপের নানা দেশেও আইইউবিএটি এর স্নাতকরা ভালো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
র্যাংকিংয়ে আইইউবিএটি :
আইইউবিএটি ১৯৯৭ সালে অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজের সদস্য হয়, যার মাধ্যমে কমনওয়েলথের সব দেশেই আইইউবিএটির ডিগ্রি স্বীকৃতি পায়। কিউএস- ২০২৫ এর র্যাংকিংয়ে বিশ্বে ১৪০০+ তম অবস্থান অর্জন করেছে আইইউবিএটি।
এ ছাড়াও ২০২২ সালের ইউআই গ্রিন মেট্রিক ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশে আইইউবিএটির অবস্থান দ্বিতীয়, আর ২০২১ সালে উরি (ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিস উইথ রিয়েল ইমপ্যাক্ট) র্যাংকিংয়ে নৈতিক মানের বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান ৩৯তম অবস্থান ২০২২ সালের দ্য টাইমস হায়ার এজুকেশন ইমপ্যাক্ট র্যাংকিংয়ে এ ৬০১-৮০০ তম অবস্থানে শিমাগো ইনিস্টিটিউশনস র্যাংকিংয়ে ২০২২ এ সারা বিশ্বে আইইউবিএটি এর অবস্থান ৭৩৫তম। র্যাংকিংয়ে সেরাদের মধ্যে সেরা হওয়ার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি আমরা। আশা করছি সামনের দিনে আরো অগ্রভাবে আমাদের অবস্থান থাকবে।
গবেষণায় আইইউবিএটি :
মিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য আইইউবিএটির শিক্ষক ও গবেষকদের গবেষণা মঞ্জুর, দিকনির্দেশনা ও মূল্যায়ন পরিচালা করে। বর্তমানে মিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মঞ্জুরি ও দিকনির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ব্যবসায় প্রশাসন, পরিবেশ, জলবায়ু, টেকসই উন্নয়ন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতিবছরই এসব গবেষণার ফলাফল নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয় এবং গবেষকদের সম্মাননা দেওয়া হয়।
সহশিক্ষা কার্যক্রম :
পড়াশোনার পাশাপাশি সবুজ মাঠের বুকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে চলে নানা খেলাধুলার আয়োজন। প্রতিযোগি মনোভাব ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের মাঝে চলে অন্তর্বিভাগ নানা আয়োজন। এছাড়া বিতর্ক, নাচ, গান, রোবটিকস কম্পিটিশন, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, বিজনেস কেস কম্পিটিশনসহ নানা আয়োজনের নিজেদের সেরাটা দিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সেরাদের সারিতে অবস্থান করে নিয়েছে আইইউবিএটিয়ানরা। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) প্লাটুন, রোটারাক্ট, ডিবেটিং ফোরাম, স্টুডেন্ট অ্যামবাসেডর সবসময় সক্রিয় থাকে আইইউবিএটি এর সবুজ ক্যাম্পাসে।
ভিনদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক হয়ে কি কোনো বিশেষ কার্যক্রম/গবেষণা
বিশ্বের ২৭টিরও বেশি দেশের ১১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্বাক্ষর চুক্তি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। যার ফলে প্রতিবছর শিক্ষক-ছাত্র অনুষ্ঠানের আওতায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন পড়াশোনা করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে আইইউবিএটি এর শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আসা–যাওয়ার জন্য বিশেষ যানবাহন ব্যবস্থা কোনো ফি ছাড়াই ঢাকার অনেকগুলো রুটে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে পরিবহন ব্যবস্থা। ঢাকা, গাজীপুর এবং সাভারের সকল রুটে আইইউবিএটির নিজস্ব বাস চলাচল করে। এ ছাড়াও ক্যাম্পাস থেকে প্রতি ঘণ্টায় শিক্ষার্থীদের জন্য শাটল বাসের ব্যবস্থা রয়েছে।
বৃত্তি বা বিশেষ সুবিধা :
আর্থিক সচ্ছলতার অভাবে উচ্চশিক্ষা নিতে পারছেন না, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে আইইউবিএটিতে।
এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১০০% পর্যন্ত মেধা বৃত্তি। মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করতে ১৫% স্পেশাল বৃত্তিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১২০টি বৃত্তি দেয়া হয়। এছাড়াও মেধাবী তবে অসচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন। মোট কথা এখানে পড়াশোনা করার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে আরো জানতে ভিজিট করুন www. iubat.edu/scholarships/
পাঠদানের বিষয় :
আইইউবিএটিতে স্নাতক পর্যায়ে বিবিএ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইকোনমিকস, ইংলিশ, এগ্রিকালচার, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, নার্সিং এবং মাস্টার পর্যায়ে এমবিএ এবং এমপিএইচ প্রোগ্রাম ভর্তি হওয়া যাবে।
ভর্তিপ্রক্রিয়া :
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নীতিমালা অনুসরণ করে ইউআইইউতে ভর্তি করানো হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আলাদা আলাদাভাবে ন্যূনতম ২.৫ গ্রেড পাওয়া শিক্ষার্থীরা স্নাতকে ভর্তির জন্য ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ–৫ এবং ইংরেজি মাধ্যমে ‘ও’ লেভেলে ন্যূনতম ২.৫ এবং ‘এ’ লেভেলে ন্যূনতম ২ থাকা সাপেক্ষে ‘ও’ লেভেলে ৫টি ‘এ’ এবং কমপক্ষে ৪টিতে ‘বি’ এবং ৩ টিতে ‘সি’ পাওয়া ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন।
বিস্তারিত : www.iubat.edu/admission
ভর্তি ফি খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে : www. https://iubat.edu/student/tuition-and-fees/
দেশ-বিদেশে ক্রেডিট স্থানান্তরের সুবিধা :
কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত যে কোনো দেশে আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট স্থানান্তরের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ১১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আইইউবিএটির সমঝোতা চুক্তি রয়েছে। এই সমঝোতা চুক্তির ফলে গবেষণা কার্যক্রম এবং স্বল্পমেয়াদি শিক্ষার্থী-ক্যাম্প পরিচালনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষক বিনিময় করা হয়। যোগাযোগ
ঠিকানা :
সেক্টর ১০, উত্তরা মডেল টাউন, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০,
ফোন: ০২৫৫০৯১৮০১-৫,
মোবাইল ০১৮৩৩ ৩৮৬ ৬৪৪
ওয়েবসাইট : www.iubat.edu
মন্তব্য করুন