কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৪০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পাঠাও-উবারকে আইনি নোটিশ

পাঠাও এবং উবারের লোগো। ছবি : সংগৃহীত
পাঠাও এবং উবারের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

রাইড শেয়ারিং সেবা নেটওয়ার্ক উবার ও পাঠাওকে ৪০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) কাওসার মেহমুদ নামের এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, রাইড শেয়ারিং বিধিমালা ২০১৭ এর লঙ্ঘন করে বিআরটিএর অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো এ পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে উবার একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, যা পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করা হয় ভারত থেকে। বাংলাদেশে এর কিছু অফিস রয়েছে, যার কাজ হলো মূলত অর্থ সংগ্রহ করা।

নোটিশে বলা হয়েছে, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ অন্তত এক লাখ ৫০ হাজার পরিবহন অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে উবার ও পাঠাওতে সংযুক্ত রয়েছে, যারা মূলত যাত্রী ও পণ্য পরিবহন, ফুড ডেলিভারি ইত্যাদি কাজ করে থাকে। রাইড শেয়ারিং বিধিমালায় কোনো নির্দেশনা না থাকলেও কোম্পানিগুলো প্রতারণা করে পরিবহন ব্যবসায়ীদের আয়ের ওপর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমিশন, অ্যাডভান্স প্লাটফর্ম ফি, সার্ভিস চার্জ, বুকিং ফি ও ট্যাক্স ইত্যাদি নিয়ে থাকে।

বিধিমালা মোতাবেক, রাইডশেয়ারিং কোম্পানি এক লাখ টাকা প্রদান করে বিআরটিএ থেকে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ব্যবসা করতে পারবে। অন্য কারো কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা তারা নিতে পারবে মর্মে বিধিমালায় উল্লেখ না থাকলেও কোম্পানিগুলো হাজার হাজার কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্রহণ করছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ।

নোটিশে আরও বলা হয়, কিছু দেশীয় রাইডশেয়ারিং কোম্পানি (ইন ড্রাইভ) আছে, যারা একটি টাকাও কমিশন নেয় না। বাংলাদেশে গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কোথাও কোনো টাকা-পয়সা দিতে হয় না। সর্বত্র এসব প্রতিষ্ঠানেরও হাজার হাজার কর্মচারী রয়েছে। গুগল-ফেসবুকের ন্যায় রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোও অনলাইন অ্যাপস পরিচালনা করে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

নোটিশে বিগত আট বছর ধরে বাংলাদেশে তারা সরকারকে কত হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স দিয়েছে, তাদের আয়ের হাজার হাজার কোটি টাকা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের আয়-ব্যয়ের পরিপূর্ণ হিসাব এবং বিদেশে পাঠালে কোনো প্রক্রিয়ায় কত টাকা পাঠিয়েছে, তাও লিগ্যাল নোটিশে জানতে চাওয়া হয়েছে।

একজন গাড়ির ড্রাইভার যদি তিন হাজার টাকা একদিনে আয় করেন, সেখান থেকে অন্তত এক হাজার টাকা তারা (উবার ও পাঠাও) বিভিন্ন খাত দেখিয়ে কেটে নিচ্ছে। এভাবে বিগত আট বছরে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার পাহাড় গড়েছে। সুতরাং রাইডশেয়ারিং কোম্পানিগুলোর এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে সংবিধানের ১০২ ধারার বিধিমতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রৌমারীতে সেতু ঝুঁকিতে ফেলে বালু উত্তোলন

জন্মদিন পালন করায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনার আমলে কীসের উন্নয়ন হয়েছে : রিজভী

সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ ফাইনাল / বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত ‘ফেভারিট’

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বেরোবিতে পুনরায় ক্লাস শুরু

কয়লাখনির ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন

দুই ভারতীয়কে গ্রেপ্তারের দাবি হেফাজতে ইসলামের

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন / নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব

শাহজালালে সাড়ে তিন ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে উড্ডয়ন-অবতরণ

‘কীভাবে ভালো করা যায় সেটাই লক্ষ্য থাকবে’

১০

জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ

১১

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, তলিয়ে গেছে রেললাইন

১২

জবির হলের দখল ছাড়তে জেলা প্রশাসকের নোটিশ

১৩

‘বৈষম্যহীন দেশ ও জাতি গঠনে ইসলামের বিকল্প নেই’

১৪

বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় ঢাবির ১০ শিক্ষক

১৫

পলিথিন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ডিসি-এসপিদের নির্দেশ

১৬

আ.লীগ এক জঘন্য শাসনের উদাহরণ : আসিফ নজরুল

১৭

ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

১৮

অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দিতে হবে : হেফাজতে ইসলাম

১৯

রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন বাস্তবায়নসহ ৩ দফা দাবি

২০
X