এস আলম গ্রুপ, এই কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পদের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইন সচিব ও নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে এই তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে এস আলম গ্রুপ, এই কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে মোট কী পরিমাণে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হছেছে তা জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এস আলম গ্রুপ, এই কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শেয়ার বিক্রি ও হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ কেন দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থীক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফাইন্যান্সশিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং বাংলাদেশ সিকিউর্রিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)কে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুকুনুজ্জামান নিজেই শুনানি করেন। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান। রুল ও আদেশের বিষয়টি আইনজীবী মো. রুকুনুজ্জামান নিজেই নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এস আলম গ্রুপ, কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পদের তালিকা দাখিল করা এবং এসব সম্পদ স্থানান্তর বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রুকুনুজ্জামান।
রিটের শুনানিতে ২২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আদালতকে জানান, এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের যেসব বিষয় এসেছে, তা নিয়ে সংস্থাটি (দুদক) অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। হালনাগাদ তথ্য জানাতে তিনি সময়ের আরজি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন আদালত শুনানি মুলতবি করে এস আলম গ্রুপের অর্থ পাচারের অভিযোগের ওপর অনুসন্ধানসংক্রান্ত তথ্য দুদকের আইনজীবীকে আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতকে অবহিত করতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন