কাপ্তাইয়ের চিৎমরমে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ বিহার মাঠে অনুষ্ঠিত হলো মারমা সম্প্রদায়ে অন্যতম বড় বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাই। যা বাংলা ভাষায় জলকেলি উৎসব বলা হয়ে থাকে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার মাঠে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে।
সাধারণত নববর্ষকে বরণ এবং পুরোনো বর্ষকে বিদায় জানাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই জল উৎসব উদযাপন করে থাকে। মারমা যুবক-যুবতীরা একে অপরের প্রতি জল ছিটিয়ে পুরোনো বছরের দুঃখ, গ্লানি, বেদনাকে ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়।
সাংগ্রাই জল উৎসব উপলক্ষে বিহার সংলগ্ন মাঠে সোমবার সকাল ১০টায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
এ সময় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আমীর হোসেন মোল্লা, কাপ্তাই ৫৬ বেঙ্গলের অধিনায়ক লে. কর্নেল নুর উল্লাহ জুয়েল, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী থোয়াইচিং মং মারমা প্রমুখ। পরে অতিথিরা বিহার সংলগ্ন মাঠে জলকেলী উৎসবের উদ্বোধন করেন।
এদিকে উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্যরা জানান, মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবকে ঘিরে এখন উৎসবে আনন্দে মাতোয়ারা সমগ্র চিৎমরম এলাকা। উৎসবকে ঘিরে নানা বর্ণের মানুষের আগমন ঘটেছে এ এলাকায়। এই সাংগ্রাই জল উৎসবের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে তুলে ধরছি। সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা নতুন বছরকে বরণ করে নেব।
এদিকে চিৎমরমে এই সাংগ্রাই উৎসবকে ঘিরে এলাকায় বসে বৈশাখী মেলা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন