খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করে। ভর্তুকি মূল্যেই জমিতে বিদ্যুতের সেচ সুবিধা পায় কৃষক। ফলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে তেমন প্রভাব পড়বে না।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এক লাইসেন্সের বিপরীতে একাধিক গুদাম রাখা যাবে না। ভিন্ন ভিন্ন নামের লাইসেন্স থাকলে গুদামগুলো সেভাবেই চিহ্নিত করে রাখতে হবে। সেটার হিসাবও আলাদা দেখাতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষকের ধান কেনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। খাদ্যবান্ধবে ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওএমএসে ডিজিটাল করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি এর উদ্বোধন করা হবে।
বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিকে লক্ষ্য রেখে বাজেটে গম কেনার যে কথা ছিল, এরই মধ্যে সাত দিন আগেই সাড়ে তিন লাখ টন গম কেনার প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। এ সময় গুজবে কান না দিয়ে একসঙ্গে বেশি চাল না কিনতে ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এর আগে নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, নওগাঁ জেলায় সরকারি আটা-ময়দা ক্রাসিং মিল স্থাপনের জায়গার খোঁজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ জেলায় সাইলোর নির্মাণকাজ চলমান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী জহিরুল ইসলাম, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এহসানুর রহমান এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান।
এ সময় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও ধান-চাল ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন