মাদারীপুরের কালকিনিতে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৬ নভেম্বর) রাতে ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কালকিনি থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে মাদারীপুর-৩ আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এদিন রাত ৮টার দিকে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মিটিং করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। মিটিং শেষে তাহমিনা সিদ্দিকার অনুসারীরা কালকিনি শহরে একটি মিছিল বের করে। মিছিলের সময় তাহমিনা সিদ্দিকার অনুসারী এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাম সরদারের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে। পরে তাহমিনার সমর্থকরা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া করে। এতে দুপক্ষের অন্তত পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকা এমপি কালবেলাকে বলেন, আমার সমর্থক সালাম সরদারের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আমার কয়েকজন কর্মীকে আহত করেছে। তবে আগামীতে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশকে অনুরোধ করব, তারা যেন নিরপেক্ষ থাকে। কারণ প্রধানমন্ত্রী বলেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন