সাদপন্থিদের আক্রমণে দুই মুসল্লি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও সাদপন্থিদের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার গাজীপুর দক্ষিণের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে শূরায়ে নেজামের (জুবায়েরপন্থি) কয়েক হাজার মুসল্লি। এ সময় তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ ও টঙ্গী-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই মুসল্লি নিহত হয়।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা ২টা ১৫ মিনিটে তারা এ বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। বেলা ৩টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ ছেড়ে সড়কের পাশে অবস্থান করে।
এরপর তারা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার এমএন নাসির উদ্দিন কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। মুফতি মাসুদুল করিম, মাওলানা হানযালা, হাজি জামির আলী, মোস্তফা কামাল মৃধা স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে সাদপন্থি মাওলানা ওয়াসিকুল ইসলামসহ ইজতেমা ভঙ্গুর করার ষড়যন্ত্রকারীদের ময়দানে আসতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
জানা যায়, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে জুমার পর কয়েক হাজার জুবায়েরপন্থিরা মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। এ সময় তারা জিএমপির ডিসি দক্ষিণের কাছে একটি স্বারক লিপি দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গতকাল কোনো সংঘর্ষ সংঘাত হয়নি। সাদপন্থিরা আমাদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে জনতার রোষাণলে পড়ে তাদের একজন আহত হয়। সমাবেশ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ ফেব্রুয়ারি সাদপন্থিদের কাছে ময়দান হস্তান্তর করা হবে। এর আগে তারা ময়দানে আসতে চাইলে ইজতেমা ময়দানে লাখ লাখ লোকের সমাবেশ করে গাজীপুর অচল করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ধাপে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিন ব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থিরা জোড় ইজতেমা করবেন ও জুবায়েরপন্থিরা করতে দিবে না বলে বিরোধ চলছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় ইজতেমা ময়দান ঘুরে জানা যায়, ময়দানের ভেতরে জুবায়েরপন্থিদের কয়েক হাজার লোক অবস্থান করেছেন। আর তুরাগ নদীর পশ্চিম পাড়ে সাদপন্থিদের মসজিদ ঘিরে কয়েক হাজার লোক অবস্থান করছে।
মন্তব্য করুন