বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজাহান সাজু বলেছেন, ‘বল্লার চাকে খোঁচা দিলে কী হয় বঙ্গবীর তুমি জানো না। তবে তা তোমাকে দেখিয়ে দেব। খোঁচা দিয়ে তুমি আবার এই সখিপুরে মিটিং করতে চাইছো। তুমি ক্ষমা না চেয়ে সখিপুরে কোথাও কোনো মিটিং করলে তা দেইখা দেওয়ার আছে। তুমি হুঁশিয়ার হয়ে যাও, সাবধান হয়ে যাও। তোমাকে প্রতিহত করা হবে।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে সখিপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে কাদের সিদ্দিকীর অশালীন কথার প্রতিবাদে সখিপুর চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও কাদের সিদ্দিকীকে দেইখা দেওয়ার জন্য বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, কাদের সিদ্দিকী বাংলাদেশে ৩৯টি ব্রিজের টেন্ডার নিয়েছিল। একটা ব্রিজের কাজও সম্পূর্ণ করে নাই। বাংলাদেশের ৩৯টি ব্রিজের কাজের সব টাকা লুটপাট করেছে সে। এমনকি হাসিনাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য নির্বাচনেও গিয়েছিল এই সিদ্দিকী।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাজি ও দখলবাজ এই কাদের সিদ্দিকী বিশ্ব মুনাফিক ও বিশ্ব দালাল। আজ সে বলে, বিএনপি নাকি চাঁদাবাজি করে। বাকিটুকু বললাম না, যদি ভাগে পড়ে যাও।
তিনি বলেন, হাসিনার পায়ে চুমু খেয়ে ভোটে যোগদান করেছিল কাদের সিদ্দিকী। বাঙালি জাতির সঙ্গে, দেশের সঙ্গে মুনাফেকি ও বেইমানি করেছে সে। তার বাংলাদেশে আর রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। যেভাবে হাসিনা পলায়ন করেছে, তখনই এই মুনাফিক বেইমানকে জুতাপেটা করে বের করে দেওয়া উচিত ছিল।
তিনি বলেন, বিএনপির সব নেতারা এই সখিপুরবাসীর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে। এছাড়াও প্রশাসন থেকে শুরু করে পরিত্যক্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িও রক্ষা করেছে এই শহীদ জিয়ার আদর্শের গড়া বিএনপির নেতরা। তবে কাদের, তোমার ঘরটা থাকার কথা ছিল না, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান পেয়েছো।
মন্তব্য করুন