সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা আসতে হবে তাদের কর্মস্থল থেকে। তারপর তাদের জীবনের নিরাপত্তা আসতে হবে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে। ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কল্যাণ ট্রাস্টে সেই দায়িত্বটি পালন করবে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় যশোর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম কিস্তির চেক বিতরণ ও সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা ও কল্যাণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার বিগত ১৫ থেকে ১৬ বছরে দেশে গণমাধ্যমকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, যে চাপের কারণে গণমাধ্যম তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। গণমাধ্যম তাদের চরিত্র হারিয়েছে। ফলে গণমাধ্যমগুলো রুগণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মাসিক ভাতা প্রদানের চিন্তা করছে সরকার। বিগত সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের বিতরণযোগ্য ফান্ড নিঃশেষ করে দিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের আগ মুহূর্তে জুলাইয়েও বিপুল অঙ্কের অর্থ নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিতরণ করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, জুলাই আগস্টের বিপ্লবে দেশে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, তা নজিরবিহীন। এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। তাহলে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা অত্যন্ত সহজ হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উপপরিচালক এ বি এম রফিকুল ইসলাম, জেলার সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, প্রাচ্যসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক বেনজীন খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহকারী মহাসচিব নূর ইসলাম, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ জামান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান। এখান থেকে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের ৩০ জন সাংবাদিকের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন