কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে

পানি বৃদ্ধিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকায় চলাচল করছেন মানুষ। ছবি : কালবেলা
পানি বৃদ্ধিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকায় চলাচল করছেন মানুষ। ছবি : কালবেলা

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়েছে। ইতোমধ্যে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলোতে নদনদীর পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে ধান ক্ষেত, বাদাম ক্ষেত ও মরিচ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীভাঙন ও ফসল নিয়ে আতঙ্কে আছে সেখানকার মানুষ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভবনা নেই।

জানা গেছে, পানি বৃদ্ধিতে তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ছয় ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি এবং গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে গেছে। এতে শুধু রাজারহাট উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৬০০ পরিবার। এ ছাড়া তিন শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমি ফসলের ক্ষেতে পানির নিচে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি অফিস।

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশ্যাম গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘরের ভেতর তিস্তা নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। আমনসহ শাকসবজির ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দ্রুত বন্যার পানি নেমে না গেলে শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হবে।

রাজারহাট উপজেলার রাজমাল্লি গ্রামের কৃষক মো. আব্দুস সাফি মিয়া বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে আধা পাকা ধান ক্ষেতে হঠাৎ তলিয়ে গেছে। কিছু ধান কাটতে পারলেও বাকি সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যায় জেলার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত পানি নিচে তলিয়ে গেছে। দ্রুত বন্যার পানি না নামলে শাকসবজির ক্ষতি হবে। তবে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ এখনো জানা যায় নাই।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার, জিনজিনরামসহ সকল নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বজ্রপাতে শিক্ষার্থীসহ প্রাণ গেল ৫ জনের

সোনারগাঁয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিএনপি নেতা আটক

ভারতে মহানবী (সা.) কে কটূক্তির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

এস আলম গ্রুপের সব স্থাবর সম্পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ

টাঙ্গাইলে সনাতন সম্প্রদায়দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময়

১২৩ বিজিপি সেনার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৮৫ বাংলাদেশি

‘জনগণের সরকারই পারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে’

কানপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা নিয়ে লুকোচুরি

সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত করার ঘোষণা

একের পর এক ঘটনায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানে কী ঘটছে?

১০

কর্মীদের উদ্দেশে শিবির সেক্রেটারির জরুরি বার্তা

১১

বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে ২০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা

১২

মেয়ের জন্য খাবার কিনতে গিয়ে আর ফেরেননি শহীদ শাহাবুদ্দিন

১৩

টাইমের কভারেই কী কপাল পুড়ল শেখ হাসিনার?

১৪

কালবেলার সাংবাদিক লিটনকে / জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তলব করায় প্রতিবাদ ও মানববন্ধন 

১৫

যে বোমা দিয়ে আঘাত হানা হয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সদরদপ্তরে

১৬

সিলেট স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক গ্রেপ্তার

১৭

কানপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত

১৮

মেট্রোরেলে ২০২ জন নিয়োগ, আবেদনের সময় বৃদ্ধি

১৯

৬ মাসেও ফলাফল না দেওয়ায় বাকৃবির রসায়ন বিভাগে তালা

২০
X