রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রশাসনে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা বসে আছে : জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি : কালবেলা
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি : কালবেলা

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রশাসনে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা বসে আছে। বিভিন্ন কাঠামোতে তারা বসে আছে। তারা খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। তারা যেন খুনিদের আড়াল করতে না পারে। আপনারা যদি এদের বিচার করতে না পারেন তাহলে কেন দায়িত্ব নিয়েছেন? বিচার আপনাদের করতেই হবে। এটাই বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় হোসিয়ারি সমিতি মিলনায়তনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ তিনি এসব কথা বলেন।

সাকি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এ সরকার শহীদের তালিকা প্রকাশ করবে। একজন শহীদের তালিকাও যেন বাদ না যায়। দল হিসেবে আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু সরকারের সক্ষমতা আছে। এই শহীদরা শুধু নাম নয়, একেকটি সম্ভাবনাময় জীবন এগুলো।

তিনি বলেন, কী নিদারুণ যন্ত্রণা ভোগ করছে এই ছেলেরা। অন্তত পাঁচশ যুবক চোখ হারিয়েছে। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে যেন ভাবতে না হয়। সেভাবে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সাকি বলেন, আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। তবে সরকারকে বলব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ তালিকা প্রস্তুত করুন। নতুন বাংলাদেশের দিকে যাত্রা ন্যায়ের উপর দাঁড়িয়ে হবে। কোনো শহীদ পরিবারকে যেন বলতে না হয় আমরা বিচার পেলাম না। এসব হত্যার দোসর ও নির্দেশদাতারা কোথায় গেল। আমরা শুনতে পারছি তারা পালিয়ে গেছে, এখনো পালিয়ে যাচ্ছে। তারা কীভাবে আইনের মুখোমুখি না হয়ে পালিয়ে যাচ্ছে সরকারকে তার জবাব দিতে হবে। আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি দেখতে চাই।

তিনি বলেন, সংবিধানে সব ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত। যারাই ক্ষমতায় গেছে তাদের জমিদারির মতো দেশ চালানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার পাইনি। আমাদের ভোটাধিকারসহ হরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ চলবে ১৯৭১ সালের বৈষম্যহীন বাংলাদেশের চেতনায়। ওরা আবার এটি মনে করিয়ে দিয়েছে। এখানে কেউ পাবে কেউ পাবে না সেটা আর হবে না। আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে। সেটার জন্য জনতার সংবিধান লাগবে। তার জন্য আইনের সংস্কার করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক হবে। এ কাজগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে করতে হবে।

সাকি বলেন, আমাদের দেশের সব স্তরের মানুষ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। তাদের দাবি পেশ করতে পারে। এ দেশের মেহনতি মানুষ কী আন্দোলন করতে পেরেছে? প্রেস ক্লাবে অধিকার ভিক্ষার মতো চাইতে হয়েছে। উন্নয়ন মানে শুধু বড় বড় স্থাপনা নয়। মানুষের জীবন মান, তাদের বাচ্চাদের শিক্ষা, চিকিৎসা, পারিবারিক ভবিষ্যৎ গড়ে উঠলে সেটাকে উন্নয়ন বলে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে মানুষ অধিকার চাইতে পারে এবং সরকারকে তা শুনতে হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভুল কীটনাশকে কৃষকের ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

নেতানিয়াহু জাতিসংঘের মঞ্চে উঠতেই হট্টগোল, ওয়াকআউট

শেরপুরে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করল ছাত্রশিবির

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান ইউনূসের

অস্তিত্বহীন লিফট অপারেটরের বেতন নিয়ে বিপাকে প্রভাষক

ভারি বর্ষণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট খোলা

কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত কেবিন

প্রত্যেক ফিলিস্তিনির জীবন অমূল্য : জাতিসংঘে ড. ইউনূস

জলবায়ু পরিবর্তন সবার জন্য হুমকি : ড. ইউনূস 

জাতিসংঘে নেতানিয়াহু / বিশ্বকে এখনই বেছে নিতে হবে শান্তি নয়তো অভিশাপ

১০

দুর্গাপূজায় মন্দির পাহারা দেবে বিএনপি : আজাদ

১১

জাতিসংঘে ড. ইউনূস / বুলেটের সামনে বুক পেতেছিল বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা

১২

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন ড. ইউনূস

১৩

কয়রায় শহীদ জিয়া পরিষদের সভাপতি শাহারুল, সম্পাদক বাপ্পি 

১৪

গুম নিয়ে সরকারের কার্যক্রম জাতিসংঘে তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৫

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৬

আওয়ামী সিন্ডিকেটে আটকা বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ

১৭

বিশ্ব পর্যটন দিবসে এসএবিপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

১৮

গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান ড. ইউনূসের

১৯

আমলাদের একটা অংশ আ.লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে : আবু হানিফ

২০
X