কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক গরু খামারিদের মাঝে। গত ১৫ দিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এক গ্রামেই ১২টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভাইরাসজনিত এ রোগের সঠিক চিকিৎসা দিলে মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই।
জানা গেছে, আক্রান্ত গরুগুলোর শরীরে প্রথমে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, এরপর মুখ দিয়ে ক্রমাগত লালা পড়তে থাকে এবং খাদ্য গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে গরু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ১২টি গরুর মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে চন্দ্রখানা বজরের খামার গ্রামের নাজমা বেগমের ২টি, মোবারাক আলীর ১টি, লিয়াকত আলীর ১টি, টুনকু মিয়ার ১টি, রতন মিয়ার ২টি, আশরাফুল আলমের ১টি, চন্দ্রখানা কুমার পাড়ার লিটন মিয়া ১টি, আব্দুস সামাদের ১টি, বাবলু মিয়ার ১টি গরু মারা গেছে।
এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। গরু মারা যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত নাজমা বেগম ও মোবারক আলী কালবেলাকে জানান, সংবাদ দেওয়ার পরও প্রাণিসম্পদ অফিসের কোনো লোক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আসেননি। স্থানীয় পল্লি পশু চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করে প্রচুর টাকা খরচ হলেও গরু বাঁচেনি।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক কালবেলাকে বলেন, আমরা খোঁজ নিয়েছি বজরের খামার গ্রামে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩ থেকে ৪টি গরু মারা গেছে।
মূলত ওই গ্রামের একজন কৃষক বাজার থেকে একটি রোগাক্রান্ত গরু কিনে নিয়ে যাওয়ায় এই রোগটি অন্য গরুর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। রোগাক্রান্ত গরুগুলোকে সুস্থ গরু থেকে আলাদা রাখতে হবে। আর অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন