নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় তালাক দেওয়ায় প্রাক্তন স্বামীর এসিডে হাফসা আক্তার নামে এক নারীকে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মণজাত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হাফসা আক্তার উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণজাত গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৭ সালে উপজেলার মাসকা গ্রামের হুমায়ূন কবীরের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হাফসা আক্তারের। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। প্রায়ই হাফসাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। এ থেকে বাঁচতে গত ঈদুল আজহার পরদিন বাবার বাড়িতে চলে আসেন হাফসা এবং স্বামীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে হাফসা তার স্বামী হুমায়ূনকে তালাক দেন। তালাকের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি হুমায়ুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হুমায়ুন শুক্রবার রাত ৯টার দিকে খাবার খাওয়ার সময় হাফসাকে ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে।
এতে হাফসা আক্তারের চোখ, মুখ, গলা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
দগ্ধ হাফসা আক্তার বলেন, আমার প্রাক্তন স্বামী বেশ কিছুদিন যাবত আমার শরীরে এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়ার এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি তাকে তালাক দেওয়ার পর সে তাই করেছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
স্থানীয় উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণী হাসান বলেন, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাই।
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এ এস এম শরীফুজ্জামান বলেন, হাফসা নামের এক নারী শুক্রবার রাতে শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার ওসি মো. এনামুল হক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন